আব্দুল ওয়াদুদ, মৌলভীবাজার।। প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১৬ এবং জীববৈচিত্র আইন ২০১৭ বাস্তবায়নে বৃহস্পতিবার দুপুরে সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করা হয় মৌলভীবাজারে। পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে পুরো কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলাম। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব, পানি বিশেষজ্ঞ ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ড. সুলতান আহমেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের (ঢাকা) উপ-পরিচালক একেএম রফিকুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের (সিলেট বিভাগ) এর পরিচালক মোঃ সালাহ্ উদ্দীন চৌধুরী। কর্মশালায় বক্তারা মৌলভীবাজারের পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের অগ্রগতি কিভাবে বাড়ানো যায় এর প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, মৌলভীবাজার জেলায় গেল বন্যায় দীর্ঘদিন পানি জমে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষকে প্রায় নিঃস্ব করেছে। কিভাবে এই অকাল বন্যা থেকে উত্তরন হওয়া যায় এ বিষয়টি প্রধান অতিথির কাছে তুলে ধরা হয়। বক্তারা আরো বলেন, মৌলভীবাজারের হাওর অঞ্চল ও ভুরিকিয়ারি বাধঁ ভরাট হওয়ায় অত্র এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এর একটা আশু সমাধান করতে হবে। মৌলভীবাজার পর্যটন জেলা উল্লেখ করে বক্তাদের তরফ থেকে আরো বলা হয় যে, মৌলভীবাজার একটি পর্যটন জেলা। এ জেলার পরিবেশ রক্ষা করতে পারলে দিন দিন দেশী-বিদেশী পর্যটক বৃদ্ধি পাবে।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলাম বলেন, জলমহালের একটি চক্র বিনা পয়সায় অথবা অন্যভাবে ফায়দা নেবার চেষ্টা করে। জলমহাল সেচ করে শুকানো যাবেনা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, জলমহালে কমপক্ষে ৩-৬ ফুট পানি থাকতে হবে। এটা সেচ করা যাবেনা। এরূপ কাজ কেউ করলে তা সরাসরি জেলাপ্রশাসককে জানানোর জন্য তিনি অনুরোধ জানান। জেলা প্রশাসন জানলে সাথে সাথে যথাবিহীত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, পরিবেশ রক্ষা করতে হলে অবশ্যই মাছ, পাখি ও পশুর খাদ্যের একটা আলাদা যায়গা করে রাখতে হবে। তবেই একটা সুন্দর পরিবেশ ফিরে আসবে। এছাড়াও, প্রায় ৩ ঘন্টাব্যাপী অনুষ্টিত কর্মশালায় পর্যটকদের সুবিধার জন্য পর্যটন এলাকার রাস্তা-ঘাট সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাখার আহবান জানানো হয়।