লণ্ডন।। ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার বলিষ্ট কণ্ঠ, বৃটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিঃ বরিস জনসন এবার পদত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ‘ব্রেক্সিট’ কৌশলের কারণেই তার এই পদত্যাগ। তার এই পদত্যাগে রক্ষণশীল দলের এক অংশ খুশীই হবেন তবে অন্যান্যদের নাখোশ করবে। অবশ্য তার এই পদত্যাগ খুব বড় আকারের আঘাত হয়ে আসবে না। এমন করেই আজ সোমবার ৯ই জুলাই খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।
ভূতপূর্ব লণ্ডন মেয়র এবং ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার নেতৃস্থানীয় প্রচারকারী, প্রধানমন্ত্রী মেসার্স মে’র ‘ব্রেক্সিট’ পরিকল্পনা নিয়ে খুবই দুঃসহ সময় কাটিয়েছেন। তিনি কোনভাবেই তাকে সমর্থন দিতে পারেননি। টোরি দলের নেতৃস্থানীয় অনেকেই মনে করেন কেনো তাকে অনেক আগেই বহিষ্কার করা হলো না।
এই গত মে মাসে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ‘ব্রেক্সিট’ প্রস্তাবনাকে, ব্রেক্সিট পরবর্তী প্রথাগত অংশীদারীত্বের একটি ‘বাতুলতা’ বলে মন্তব্য করেন।
গত মাসে অর্থাৎ গত জুনে তিনি রক্ষনশীল দাতাদের বলেন যে ব্রাসেলসের সাথে আলাপে প্রধানমন্ত্রীকে আরো সাহসী হতে হবে। তিনি তাদের পরামর্শ দিয়ে বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ভাল করতে পারবেন।
অতি সম্প্রতি তিনি চলমান ‘ব্রেক্সিট’ কৌশলকে খুব খারাপভাবে ‘টয়লেট পেপার’এর সাথে তুলনা করেন। অথচ বহু টোরি সমর্থক ই.ইউনিয়ন থেকে এ নমুনার বেরিয়ে আসাই দেখতে চেয়েছিলেন। যেমন মাইকেল গোব বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মে’র প্রস্তাবনার চেয়ে বেরিয়ে আসার আর সহজ সাবলিল কিছু হতে পারেনা। বরিস আরো বলেন যে চলমান ব্রেক্সিট কৌশলকে সমর্থন করার অর্থই হলো একটি গোবরপিণ্ডকে ঘঁষে-মেজে ঠিক করার মত।
বিবিসি’র মতে ‘ব্রেক্সিট’ সচিব ডেভিড ডেভিসের পদত্যাগই সম্ভবতঃ তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে। ডেভিড ডেভিস বলেছিলেন মিসেস মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনা ‘খুব বেশীকরে সমযোতা’র নামান্তর।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার নেতা হিসেবে বরিস জনসনের উত্থান দেখা গিয়েছিল যখন বিগত ২০১৬ সালের গণভোটে। ওই ভোটে ১৭.৪মিলিয়ন মানুষ বেরিয়ে আসার পক্ষে ভোট দিয়েছিল।