ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মঙ্গলবার কওমি মাদ্রাসার আলেমদের নিয়ে হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর সাক্ষাতের পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ১৪ দলীয় জোটের শরিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র ও অনলাইন এ খবর দিয়েছে।
রাতের ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সমান স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা এবং সুপ্রিম কোর্ট থেকে গ্রিক মূর্তি অপসারণে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এর পরদিন বুধবার একটি বিবৃতি দেন তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি।
বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ‘তেঁতুল হুজুর গোষ্ঠী’র রাজনৈতিক অবস্থান শুধুমাত্র সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণে ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধীই নয়। এই ‘তেঁতুল হুজুর গোষ্ঠী’র বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, সকল গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলন, বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য-ইতিহাস, জ্ঞান-বিজ্ঞান-যুক্তি-বুদ্ধি-শিক্ষা-দীক্ষা-মানবতা-মনুষ্যত্ব-সভ্যতা-প্রগতি-নারী অধীকার বিরোধী অন্ধকারের অপশক্তি।
তারা আরো বলেন, এই ‘তেঁতুল হুজুর গোষ্ঠী’ তালেবান, আইএস, আলকায়দার বাংলাদেশী সংস্করণ।
জাসদের এই দুই নেতা বলেন, ‘তেঁতুল হুজুর গোষ্ঠী’কে সামান্য ছাড় দেয়া হলে তারা আবারো বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সংবিধানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন।
তারা ‘তেঁতুল হুজুর গোষ্ঠী’র বিরুদ্ধে সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি-মহল-গোষ্ঠী-দলকে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান।