গত ৬ সেপ্টেম্বর, সোমবার বিকালে বাম গণতান্ত্রিক জোট মৌলভীবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা সিপিবি জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি- সিপিবি মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ মৌলভীবাজার জেলা শাখার সদস্য কমরেড আবুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশিদ ফিরোজ, সিপিবি কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কমরেড আব্দুল্লাহ্ কাফি রতন, বাসদ মার্কসবাদী কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য কমরেড উজ্জ্বল রায়। মৌলভীবাজার জেলার পক্ষ থেকে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বাসদ মৌলভীবাজার জেলা শাখার জ্যেষ্ঠ্য সদস্য এডভোকেট মঈনুর রহমান মগনু, সিপিবি জেলা কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মাসুক মিয়া, প্রবীন কৃষক নেতা আব্দুর রাজ্জাক, জেলা কৃষক সমিতির সভাপতি আব্দুল লতিফ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি জেলা সংগঠক প্রশান্ত দেব, গণসংহতি আন্দোলন মৌলভীবাজার জেলা সদস্য তমাল দেব, সিপিবি কমলগঞ্জ উপজেলা সভাপতি আহমেদ সিরাজ, রাজনগর সভাপতি নিতাই মিত্র, শ্রীমঙ্গল উপজেলা সাধারণ সম্পাদক জলি পাল, চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ইউ পি সদস্য বিপ্লব মাদ্রাজি পাশী, বাসদ মার্কসবাদী নেতা রেজাউর রহমান রানা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলা সভাপতি রেহনোমা রুবাইয়াৎ, ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সভাপতি পিনাক দেব প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিবি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিলিমেষ ঘোষ বলু, গণসংহতি আন্দোলন মৌলভীবাজার জেলা আহ্বায়ক জুনায়েদ আহমদ, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র জেলা সিনিয়র সংগঠক দিলীপ সাহা সহ বাম জোট ভুক্ত দল ও গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনে আজ জনজীবন বিপর্যস্ত। মহামারী করোনাকালেও শাসকদের লুটপাটের যে চরিত্র তার বিন্দুমাত্র ব্যতিক্রম দেখা যায় নি। করোনা মোকাবেলা যেমন ব্যর্থ হয়েছে সরকার তেমনি লুটপাট ও দূর্নীতিতে সেরা হয়েছে শাসক গোষ্ঠী। করোনার অযুহাতে দীর্ঘদিন বন্ধ করে রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে সরকারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সুস্পষ্ট কারন জনগণের সামনে আজ উন্মোচিত। সরকার ঘোষণা করছে ১২ তারিখ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলে দেয়া হবে। আমরা আগে থেকেই দাবি করে আসছিলাম সকল ছাত্রছাত্রীদের করোনা টিকা দ্রুত দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলে দেয়া। দেশে করোনা কালে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের চরম উদাসিনতা এবং দূর্নীতিও আজ কাউকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হয় না। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় এই করোনাকালীন সময়ে প্রমাণ করে দিলো তারা কতটা দূর্নীতিগ্রস্থ। শুধু স্বাস্থ্য খাতই নয় দেশের সকল সেক্টরে আজ দূর্নীতি চরম মাত্রায়। লুটপাটকারীরা লুটপাট ও দূর্নীতি করে অর্থ হাতিয়ে আজ তারা দেশে তাদের টাকা রাখা নিরাপদ মনে করে না। তারা দেশের টাকা আজ বিদেশে পাচার করছে আর বিদেশে তৈরি করছে বেগম পল্লী। এই লুটপাট ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে দেশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ হওয়া অতিব জরুরি। |