1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
বিপ্লব ও সংহতি দিবস, মাওলানা মজিদ অসুস্থ, মণিপুরী মহারাসলীলা - মুক্তকথা
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন

বিপ্লব ও সংহতি দিবস, মাওলানা মজিদ অসুস্থ, মণিপুরী মহারাসলীলা

শ্রীমঙ্গল(মৌলভীবাজার), রাজনগর ও কমলগঞ্জ সংবাদদাতা।
  • প্রকাশকাল : শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫
  • ০ পড়া হয়েছে

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে পথযাত্রা ও আলোচনা সভা


শ্রীমঙ্গলে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ ২০২৫ উদযাপন করা হয়েছে। শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বেলা ৩টায় শহরে একটি বর্ণাঢ্য পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও মৌলভীবাজার-৪ আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী (হাজী মুজিব) এর নেতৃত্বে র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এরপর জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী। সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ নুরুল আলম সিদ্দিকী এবং সঞ্চালনা করেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোছাব্বির আলী মুন্না। প্রধান বক্তা ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দুরুদ আহমেদ।

বক্তব্য দেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ তাজ উদ্দিন (তাজু), হাফিজুর রহমান চৌধুরী তুহিন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শামিম আহমদ, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল হাসান, সদস্য সৈয়দ সালাউদ্দিন প্রমুখ। এছাড়া উপজেলা, পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিএনপির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দও বক্তব্য দেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা ৭ নভেম্বরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করার মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামোর ৩১ দফা বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।


মাওলানা আব্দুল মজিদ অসুস্থ


শ্যামেরকোনা ফয়জুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার সম্মানিত মুহতামিম, সাবেক করাইয়া এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল মজিদ হাফিজাহুল্লাহ খুব বেশি অসুস্থ।
৫ দিন ধরে সিলেট প্রাইভেট একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন আছেন।


হয়ে গেলো সম্প্রীতির উৎসব মণিপুরি মহারাসলীলা


বর্ণাঢ্য আয়োজন আর বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মণিপুরি সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী কৃষ্ণের মহারাসলীলা। গেলো বুধবার(৫ নভেম্বর) সকাল থেকে মণিপুরি অধ্যূষিত জনপদ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ও আদমপুরে এ উৎসব উদযাপিত হয়। কমলগঞ্জের মাধবপুর শিব বাজারের জোড়ামণ্ডপ এলাকায় রাখাল নৃত্য ও রাতে রাসনৃত্য এ উৎসবের অন্যতম মূল আকর্ষণ ছিল। পাশাপাশি আদমপুরে মৈতৈই মণিপুরি সম্প্রদায় মণিপুরি কালচারাল কমপ্লেক্সে এ উৎসব উদযাপন করছে।

গত ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ভোরে শেষ হয় শ্রীকৃষ্ণের মহারাসলীলা। উৎসব উপলক্ষে উভয়স্থানে মেলা বসেছিল। রাস উৎসবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার ভক্তসহ দেশি-বিদেশি পর্যটকের ভিড়ে মুখরিত ছিল কমলগঞ্জের মণিপুরি এ জনপদ। এ উপলক্ষে উভয় জায়গায় বসে বিরাট মেলা।

বৃহত্তর সিলেটের আদিবাসী মণিপুরি সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী মণিপুরি মহারাসলীলা উপজেলার মাধবপুর শিববাজার জোড়া মণ্ডপে মণিপুরি মহারাসলীলা সেবা সংঘের আয়োজনে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি সম্প্রদায়ের ১৮৩তম এবং আদমপুর মণিপুরি কালচারাল কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে মৈতৈ মণিপুরি সম্প্রদায়ের ৪০তম মহারাস উৎসব প্রতি বছরই আয়োজিত হয়।

উৎসবস্থল মাধবপুরের শিববাজার উন্মুক্ত মঞ্চ প্রাঙ্গণে হয় গোষ্ঠলীলা বা রাখাল নৃত্য। রাতে ছিল জোড় মন্ডপে রাসের মূল প্রাণ মহারাসলীলা। এছাড়া মণিপুরি রাসোৎসব উপলক্ষে বুধবার বিকাল ৫টা ও সন্ধ্যা ৬টায় মণিপুরি ললিতকলা একাডেমি মিলনায়তনে মণিপুরি থিয়েটারের আয়োজনে “নুংশিপি” চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন ছিল। অপরদিকে উৎসবস্থল আদমপুরেও যথারীতি রাখাল নৃত্য ও রাসলীলা চলে। তবে মণিপুরি বিষ্ণুপ্রিয়া ও মণিপুরি মৈতৈ এরা আলাদা স্থানে আয়োজন করলেও উৎসবের অন্ত:স্রোত, রসের কথা, আনন্দ-প্রার্থনা সবই একই। উৎসবের ভেতরের কথা হচ্ছে বিশ্বশান্তি, সম্প্রীতি ও সত্যসুন্দর মানবপ্রেম।

আলাপকালে মণিপুরি ললিতকলা একাডেমির উপ-পরিচালক (অ: দা:) প্রভাস চন্দ্র সিংহ জানান, মণিপুরের রাজা ভাগ্যচন্দ্র মণিপুরে প্রথম এই রাসমেলা প্রবর্তন করেছিলেন। মণিপুরের বাইরে ১৮৪২ সালে কমলগঞ্জের মাধবপুরে প্রথম মহারাস উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। রাস উৎসবে সকালে ‘গোষ্ঠলীলা’ বা ‘রাখালনৃত্য’ হয়। গোধূলি পর্যন্ত চলে এই রাখালনৃত্য। রাত ১২টা থেকে শুরু হয় রাস উৎসবের মূল পর্ব শ্রীশ্রীকৃষ্ণের মহারাসলীলা অনুসরণ। মণিপুরিদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের পোশাকে নেচে-গেয়ে কৃষ্ণবন্দনায় ভোর পর্যন্ত চলে রাসলীলা। রাসনৃত্যে শ্রীকৃষ্ণ, রাধা ও প্রায় ৫০ জন গোপী থাকেন। গোপীর সংখ্যা অনেক সময় কমবেশি হয়।

মণিপুরি মহারাসলীলা সেবা সংঘের সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সিংহ বলেন, রাস উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো ঐতিহ্য ও ধর্মীয় ভাবধারায় মাধবপুর জোড়ামন্ডপে এবারের আয়োজন ছিল শ্রীকৃষ্ণের ১৮৩তম  মহারাসলীলা।

রাসলীলা মণিপুরিদের আয়োজন হলেও জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের আগমনে মানুষের মানবিক মূল্যবোধ বৃদ্ধির পাশাপাশি অপরাপর সকল জাতিগোষ্ঠীর মাঝে সম্প্রীতির বাঁধনে বেধে চলেছে এই উৎসব রাসলীলা, গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের প্রেমপ্রীতির ঐতিহ্য দর্শন।

কমলগঞ্জ থানার ওসি আবু জাফর মো: মাহফুজুল কবির জানান, নির্বিঘ্নে মণিপুরি মহারাসলীলা উপলক্ষে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। অনুষ্ঠানে পুলিশ ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT