আয়োজিত দ্বিতীয় সভায় বক্তারা বলেন, লীলা নাগ আমাদের বাঙালির গর্ব, লীলা নাগ আলোর বাতিঘর। তাঁকে নিয়ে আমরা গর্বিত এই কারণে যে, তিনি আমাদের এ জেলার পাচঁগাঁও গ্রামের ভূমি কন্যা, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী, বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মতো সমাজ পরিবর্তনের স্বাধীনতাকামী হাজারো তরুন-তরুনীরা তাঁর রাজনৈতিক শিষ্য ছিলেন। তিনি ছিলেন মহিলাদের মধ্যে নেতাজীর পরেই মূল্যায়ন করা হয়(সেকেন্ড ইন কমান্ড)। ঐ সময়ে তিনি জেলে না থাকলে ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস অন্যরকম হতো। বাঙালি জাতির আবাসভূমিতে বিভক্তি আসতো না। কোনো নারী কর্তৃক সম্পাদিত জয়শ্রী পত্রিকা-ই ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম। তিনি দীপালি সংঘসহ অসংখ্য নারী জাগরণের বিদ্যাপীঠও গড়ে তুলেছিলেন। ঢাকার তিতুমীর কলেজ মূলত তাঁর হাতে গড়া। বিপ্লবী ধারার এ মহিয়সী নারী ছিলেন দেশ-জাতি প্রেমের সুস্থ ধারার রাজনীতি ও নারী জাগরণের পথিকৃৎ। তাঁর জীবন সংগ্রাম নতুন প্রজন্মের সামনে নিয়ে আসলে জাতি হিসেবে আমরা আলোকিত হবো। সুস্থতা ও দেশপ্রেমের রাজনীতি বিকশিত হবে।
|
আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী লীলা নাগের জন্মমাটির রাজনৈতিক নেতা রাজনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত্, বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আইন বিশেষজ্ঞ শান্তি পদ ঘোষ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সংগীত অনুরাগী ডাঃ এম এ আহাদ, প্রফেসর ড. ফললুল আলী, মায়া ওয়াহেদ, জেলা জাসদ এর সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, মৌলানা মুফজল হোসেন মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তোফায়েল আহমদ, রাজনগর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক শাহানারা রুবি, কবি প্রাবন্ধিক ও গবেষক সৌমিত্র দেব টিটু, প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তি সৈয়দ আব্দুল মোত্তালিব রঞ্জু, লন্ডন সিটির বাঙালি সংস্কৃতির সংগঠক জয়দীপ রায়, রাজনগর উদীচীর আব্দুল ওয়াহিদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক সরওয়ার আহমদ ও বকসী ইকবাল, কুলাউড়া উদীচীর বিপুল চক্রবর্তী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট মৌলভীবাজার জেলার নেতা আনোয়ার হোসেন দুলাল, শ্রীমঙ্গলের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জলি পাল, পাঁচ গাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক অরুন ঘোষ, শিক্ষক গৌরীপদ মালসকার, শুভ চিন্তা ও মেধা-বিকাশ সহায়তা প্রকল্পের আহবায়ক অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র ঘোষ, শিক্ষক ধীরাজ ভট্টাচার্য, সৈয়দ মুজতবা আলী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, রাস্ট্র চিন্তার প্রীতম দাশ, আলী আমজদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বাবুল উদ্দিন খান, সুমন ধর, সুজয় চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সাধারন সম্পাদক প্রণব ঘোষ, যুব লীগের যুগ্ন সম্পাদক রিংকু চক্রবর্তী, লীলা নাগ স্মৃতি পাঠাগারের বিজিত দেব, কবি জয়নাল আবদীন শিবু, জেলা সিপিবি নেতা অ্যাডভোকেট মাসুক মিয়া, কুলাউড়ার সিপিবি নেতা সুমন মিত্র, কমলগঞ্জের প্রণীত দেব, সাহিত্যিক সুনীল শৈশব, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক কাজল রায়, সাংবাদিক জাফর হোসেন, কপিল দেব, শুভচিন্তার বিপ্লব চরন ধর, পাচঁগাঁও এর নুরুল ইসলাম ফয়সাল প্রমুখসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার শতাধিক সদস্যবৃন্দ।
|