মুক্তকথা সংবাদ।। সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মারুফ রুমী ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। রুমীর পরিচয়, তিনি চট্টগ্রামের বড় বড় সব সার্বজনীন সাংস্কৃতিক আয়োজনের একজন সর্বগণ্য উদোক্তা। চট্টগ্রামের হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলনে রুমী ছিলেন নির্বাচিত মুখপাত্র। চট্টগ্রামে পোষাক শ্রমিকদের আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনেও রুমীর ভূমিকা ছিল অগ্রগন্য।। সবকিছু মিলিয়ে ভোটে প্রার্থী হওয়ার মত সকল যোগ্যতা তার আছে এবং তিনি দাঁড়িয়েছিলেন। শুধু কি দাঁড়ালেন একেবারে অনন্য নজির স্থাপন করে ছেড়েছেন। তিনি সর্বমোট শূন্য ভোট পেয়েছেন। ব্যালট বাক্সে তার কোদাল মার্কায় একটি সিলও পড়েনি। এমন খবর প্রকাশ করেছে শীর্ষবিন্দু।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১০ আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন সৈয়দ মারুফ রুমী। চট্টগ্রাম-১০(ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনে গণসংহতি আন্দোলনের কোদাল মার্কায় প্রার্থী ছিলেন তিনি।
রুমীর নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো কমতি ছিল না। তার কোদাল মার্কার ব্যানার, পোস্টারও দেখা গেছে এই আসনের বিভিন্ন স্থানে। নির্বাচনের খবরে জাতীয় এবং স্থানীয় দৈনিকগুলো রুমীকে গুরুত্ব দিয়ে খবরও প্রকাশ করেছিল। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে গণসংযোগ বা নির্বাচনী প্রচারণায়ও পিছিয়ে ছিলেন না তিনি। তার গণসংযোগ মিছিলগুলোতেও দেখা গেছে এলাকার কয়েকটি সংগঠনের সংগঠক, রাজনৈতিক কর্মী, প্রসিদ্ধ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাহিত্যিক, মানবাধিকার আইনজীবীদের। স্থানীয় বস্তির কয়েকজন নারীরাও তার মিছিলে স্বতস্ফূর্তভাবে এসেছিলেন। এতো কিছুর পরেও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে একটি ভোটও পান নি এই রাজনৈতিক ব্যক্তি। কার সাধ্য তার এ অবস্থা ব্যাখ্যা করে!