পর্যটন ও পাহাড়ি জেলা মৌলভীবাজারে মাঘ মাসের শুরুতে আবারও জেঁকে বসছে শীত। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমে নেমে এসেছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস-এ। যা সোমবার ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পুরো জেলাজুড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। দিন রাত সমান তালে বইছে কনকনে হিমেল হাওয়া। ঘর থেকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বেড় হচ্ছেন না। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে রয়েছে পূরো মৌলভীবাজারের আকাশ। গেল এক সপ্তাহ থেকে এ জেলায় সূর্যের দেখা মেলেনি।
শীতে সবচেয়ে বেশী কুশিয়ারা নদী ও হাওর পাড়ের মানুষ, চা বাগানের শ্রমিক, ছিন্নমূল ও দিনমজুররা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকেই খড়খুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা বিবলু চন্দ্র জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশা কেটে গেলে তাপমাত্রা আরও নামতে পারে।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক বিনেন্দ্র ভৌমিক জানান, শুধু শিশুদের জন্য সিট রয়েছে ৩৯টি। গত সপ্তাহে শীতজনিত রোগে হাসপাতালে শিশু ভর্তি ৭০-৭৫ জন ছিল। যা প্রায় দ্বিগুন ছিল। বর্তমানে শিশু ভর্তি কমে আসছে। এদিকে ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকানে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ভীর প্রতিদিন ভাড়ছে।
তীব্র শীতে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ দিনমজুর মানুষ। সড়কে মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় ভ্যান ও রিকশা চালকদের আয় কমে গেছে।
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার শাহাপুর গ্রামের সুয়েজ মিয়া বলেন, বোরো আবাদী জমিতে সেচ ও পাওয়ার টিলার দিয়ে কাজ করা যাচ্ছে না। এতো ঠান্ডা পানি ও বাতাস যে কাজ করাই কঠিন হয়ে গেছে।