দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ভোট গ্রহন ফেব্রুয়ারিতে এবং মার্চের প্রথমার্ধে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত মঙ্গলবার(১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, কমিশনের অনুমোদন পেলেই এ দুই নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হবে।
আগামী সপ্তাহে সংরক্ষিত নারী আসনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোটার তালিকা পাওয়ার পরে আগামী সপ্তাহে কমিশনে তোলা হবে। কমিশন অনুমতি দিলেই তফসিল ঘোষণা করা হবে। আগামী সপ্তাহে যদি কমিশনের অনুমোদনে তফসিল হয়, তাহলে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হতে পারে।
অশোক কুমার আরো বলেন, এই নির্বাচনে ভোটার হবেন সংসদ সদস্যরা, তাদের তালিকা আমরা সংসদ থেকে পেয়েছি। ভোটার তালিকা যেভাবে প্রকাশ করা হয়, সেভাবে সংসদে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। প্রকাশ হওয়ার পর যদি কোনো আপত্তি না থাকে, সেটাই ভোটার তালিকা হবে। পরবর্তীতে কমিশনের অনুমোদনক্রমে তফসিল ঘোষণা করা হবে। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সরাসরি ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে নারী আসন বণ্টন হয়। সংসদের সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের ভোটার হন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের তফসিলের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ, ভোটার তালিকা তৈরিসহ প্রাথমিক কাজ গুছিয়ে রাখছি।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২৩টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, জাসদ ১টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ১টি, কল্যাণ পার্টি ১টি, স্বতন্ত্র ৬২টি আসন পেয়েছে। একটি আসনে ভোটগ্রহন বাকি রয়েছে। নওগাঁ-২ আসনের একজন প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানে ভোট হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য ৪৮৫ উপজেলার তালিকা হাতে এসেছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, ‘সে অনুযায়ী নির্বাচন করার জন্য কমিশন সচিবালয় প্রস্তুত রয়েছে। ধাপে ধাপে এই নির্বাচন করা হবে। রোজা শুরুর আগেই প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদের ভোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ভোট অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে এসএসসি পরীক্ষা এবং রোজা সবই বিবেচনা করা হবে। কমিশন অনুমোদন করলে প্রথম ধাপটা রোজা শুরুর আগেই হতে পারে।
দেশে বর্তমানে ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে। সবশেষ ২০১৯ সালের ১০ মার্চ শুরু হয়েছিল উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। পাঁচ ধাপের ওই ভোট গ্রহণ শেষ হয় গত জুন মাসে। আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শুরু হয় প্রথম সভার দিন থেকে। পরবর্তী পাঁচ বছর নির্বাচিত পরিষদ দায়িত্ব পালন করেন। মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।