মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের “স্টোনো স্টাইফিস্ট” মৌসুমী তালুকদার(৩৪) নিজের স্বামীকে চাকু দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজার শহরের কাশিনাথ দীঘির পুর্বপাড়ের এম আর ভিলায়।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় ওই বাসার দ্বিতীয় তলায় দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছেন এক মেয়ে সন্তানের জনক স্বামী-স্ত্রী’র এক পরিবার। রাজনগর সৈয়দ মোফাজ্জল হোসেন মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক নিপুল দাশ সরকারি চাকুরীজীবী মৌসুমীকে নিয়ে ২০২১সাল থেকে সংসার করে আসছেন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, এক বছর যাবৎ মানসিক রোগে ভোগছেন মৌসুমী।
গেল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় স্বামী নিপুলকে দুপুরের খাবার দিয়ে হঠাৎ চাকু হাতে নিয়ে তার গলার ঘাড়ে উপর্যুপুরি কুপাতে থাকেন। তাৎক্ষনিক স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে আহত নিপুলকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০শয্যা বিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। এরই মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীন মৌসুমী দরজা বন্ধ করে নিজের গলায় চাকু দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার গলার শ্বাসনালী কেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এসময় স্থানীয় পৌরসভা কাউন্সিলর পার্থ সারথী পালসহ স্থানীয় ও পুলিশের সহায়তায় তাকে দ্রুত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়।
আহত মৌসুমী দাশ সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের রনবীর তালুকদারের মেয়ে। আহত স্বামী প্রভাসক নিপুল দাশ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বৃন্দাবনপুর এলাকার চিত্তরঞ্জন দাশের পুত্র। এমআর ভিলার স্থানীয় বাসিন্দা ও রাজনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সঞ্জয় কুমার চক্রবর্তী জানান- “আমরা একই স্থাপনায় বসবাস করলেও তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়টা জানা হয়নি। ঘটনার সময় আমি বাহিরে ছিলাম। তবে যতটুকু শুনেছি, মৌসুমী তার স্বামীকে কুপিয়ে নিজেরে নিজে আহত করে।” ওই বাসার পাশের ফ্ল্যাটের কাটমেস্ত্রী কুটিলাল দাশ বলেন- “ঘটনার সময় আমি কাজে ছিলাম। বাসায় এসে শুনেছি, মৌসুমীকে দরজা ভেঙ্গে পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় বের করেছে।”
মৌলভীবাজার পৌরসভা কাউন্সিলর পার্থ সারথী পাল শুক্রবার দুপুরে জানান, আহত মৌসুমীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। যেকোনো সময় মারা যেতে পারেন। মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ওসি(অপারেশন) আবুল কালাম শুক্রবার দুপুরে বলেন, আহত দুজনকে সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।