1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
সিলেটে কেএফসি-বাটা-ইউনিমার্টে ব্যাপক ভাঙচুর, আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩২ অপরাহ্ন

সিলেটে কেএফসি-বাটা-ইউনিমার্টে ব্যাপক ভাঙচুর, আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ

রুমা বেগম॥
  • প্রকাশকাল : সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ২৭ পড়া হয়েছে

সিলেটে তৌহিদী জনতার মিছিল থেকে বিভিন্ন শোরুমে ব্যাপক ভাঙচুর
কেএফসি, ইউনিমার্ট, বাটা, ডমিনোজ পিজ্জাসহ
বহু শোরুমে ভাংচুর ও লুঠপাট

“সিলেটে আজকে বাটা জুতার দোকান লুটপাট করলেন ও কে এফ সি ভাংচুর করলেন প্রতিবাদী মিছিলের নাম লাগিয়ে। লুটপাট করা, এটা কোনো ভদ্র-সভ্য মনুষ্যত্বের মধ্যে পরে বলে আমার জানা নেই, কোন সুস্থ মানুষ এমন অপকর্ম করতে পারে না৷ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, লুটপাট করে পন্য নিয়ে যাওয়া, এটি প্রতিবাদ নয় এটি প্রকাশ্য দিনে দুপুরে চুরি আর ডাকাতি করা।
আপনারা প্রতিবাদ করছেন ইজরায়িলের বিরুদ্ধে কারণ তারা ফিলিস্তিনের উপর হামলা চালিয়েছে। তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আপনি নিজের দেশের একটি ব্যবসার ক্ষতি করলেন? কাজটির আগে একটুও কি ভাবতে পারলেন না? এমন কাজ নিজের দেশের সম্পদ নষ্ট করা রীতিমত দণ্ডনীয় অপরাধ। আল্লাহ আপনাদের মতো আহাম্মক আর হুজুকে মুসলিম নামধারি হিংস্র মানুষগুলোর হাত থেকে আমার প্রিয় মাতৃভূমি কে রক্ষা করুক।
বাস্তবমুখী প্রতিবাদ হচ্ছে পণ্য বয়কট করা, চুড়ি করে পন্য নিয়ে যাওয়া নয়৷ সম্ভব হলে কূটনীতিকভাবে প্রতিবাদ জানান৷ এসব চুরি, ডাকাতি করে প্রতিবাদ করা যায়না। খাদ্য, ত্রাণ সামগ্রী, ডাক্তার, ঔষধ পাঠানো সম্ভব হলে ফিলিস্তিনে পাঠান। ইমানদার মুসলমানদের পক্ষে জিহাদ করেন। আল-আকসা রক্ষা ইমানী দায়িত্ব পালন করেন।”

 

দোকানে ভাঙ্গচুর ও লুঠপাটের নমুনা। ছবি: সংগৃহিত শোরুমে লুঠপাট ও ভাঙ্গচুরের নমুনা। ছবি: সংগৃহিত

 

উপরের এ দীর্ঘ মন্তব্যটি নাম প্রকাশে অপারগ একজন পাঠকের। গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সিলেটে তৌহিদী জনতার মিছিল থেকে কেএফসি, ইউনিমার্ট, বাটা, ডমিনোজ পিজ্জাসহ বিভিন্ন শোরুমে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি পণ্য রাখা ও বিক্রির অভিযোগ তুলে এসব প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়।

সোমবার(৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে নগরীর মীরবক্সটুলা এলাকায় প্রথমে কেএফসি ভাঙচুর করা হয়। এরপর একে একে বাটার বিভিন্ন শোরুম, ইউনিমার্ট ও বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা এলাকার বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নগরীর বিভিন্ন মোড় ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কেএফসি-তে ভাঙ্গচুর ও লুঠপাটের নমুনা। ছবি-সংগৃহীত

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুর ২টার পর নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে বন্দরবাজার কোর্ট পয়েন্টে জড়ো হতে থাকেন বিক্ষুব্ধ জনতা। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও অনেকে মিছিল সহকারে যোগ দেন। সেখান থেকে হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা মিছিল নিয়ে জিন্দাবাজার হয়ে চৌহাট্টা শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান নেন। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা প্রথমে ইসরায়েলি পণ্য বিক্রির অভিযোগ তুলে মীরবক্সটুলা এলাকার কেএফএসিতে ভাঙচুর করেন। এসময় প্রতিষ্ঠানটির বিপুল পরিমাণ পানীয় নষ্ট করেন তারা। এরপর দরগাহ গেট এলাকার বাটা শোরুম ও আশপাশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়।

জুতার দোকানে চুরি ও লুঠপাটের অবাধ স্বাধীনতা। ছবি: সংগৃহীত

এর কিছুক্ষণ পরে ভাঙচুর চালান আম্বরখানা এলাকার ইউনিমার্টে। এতে সবকটি প্রতিষ্ঠান বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে যান সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।

বিক্ষুব্ধ জনতার কথা, নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের গণহত্যাকারী ইসরায়েলি কোনো প্রতিষ্ঠান বাংলার মাটিতে থাকতে দেওয়া হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT