মুক্তকথা সংগ্রহ।। এও কি সত্য? বিশ্বাস করতে মন চায় না। মনে হয় এসব খবর ব্যবসায়ীদের বানানো চমকবাজী। মানুষের হৃৎকম্প সৃষ্টিকারী খবর সংগঠিত না হলে খবর ব্যবসায়ীরা এমনসব ঘটনা বানিয়ে নেয় বলে শুনেছি। কতটা সত্য শুনেছি তা অবশ্য চিন্তার বিষয়! কিন্তু এ কি করে হয়! এতো শুধু অবাক করা নয়, রীতিমত ভয়ঙ্কর শরীর মনে শিহরণ জাগানো রাক্ষুসে কাণ্ড!
সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা উল্লেখ করে দুঃস্বপ্নের এমন খবর প্রকাশ করেছেন বাংলা অনলাইন “নীলকণ্ঠ”।প্রকাশিত খবরে জানা যায়, স্বামী হেঁসেলে গিয়ে রান্না করছেন দেখে স্ত্রী খুবই খুশী। তার ভাল লাগছে। স্বামী বেচারা রাঁধছে তো! কিন্তু কী রাঁধছে? সেটা দেখতেই রান্না ঘরে গেলেন স্ত্রী। আর ঢুকে যা দেখেন তাতে তাঁর সারা শরীর হীম হয়ে যাবার জোগাড়। দেখেন, আগুনে বসানো রয়েছে বাসন। আর বাসনের মধ্যে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মানুষের হাত আর আঙুল। সেটাই রান্না হচ্ছে। রান্না করছে তাঁর স্বামী ৩২ বছরের সঞ্জয়। বিষয়টি কী হচ্ছে তা বুঝতে পেরেই ছুট লাগালেন স্ত্রী। সোজা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন। আর যাওয়ার আগে বন্ধ করে দিলেন দরজা। যাতে তাঁর স্বামী না বার হতে পারে।আতঙ্কে থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে ওই গৃহবধূ পাড়ায় বেরিয়ে প্রতিবেশিদের চেঁচিয়ে সাহায্য চান। তাঁদের সব কথা খুলে বলেন। দ্রুত খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসে দরজা খুলে ভিতরে ঢোকে। পুলিশ ভিতরে ঢুকলেও সঞ্জয়ের স্ত্রী বাড়িতে আর ঢোকেননি। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় মানুষের দেহাংশ।
প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে যে সঞ্জয় মদ্যপানে আসক্ত। সে মাঝেমধ্যেই কাছের শ্মশানে হাজির হত। সেখান থেকেই সম্ভবত সে ওই দেহাংশ সংগ্রহ করত বলে মনে করছে পুলিশ। কদিন আগে সে নিজের বাবার ওপরও আক্রমণ হেনেছিল। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে সঞ্জয় গ্রেফতার হলেও ওই বাড়িতে আর প্রবেশ করতে পারছেন না সঞ্জয়ের স্ত্রী। তিনি এতটাই আতঙ্কিত যে ওই বাড়িতে তিনি আর ঢুকবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরে। সূত্র: নীলকণ্ঠ
খবরটি এ বছরেরই বিগত ১০ মার্চের। আমাদের মনে প্রশ্ন থেকেই যায়, যা ‘নীলকণ্ঠ’ পরিস্কার করে উল্লেখ করেন নি। এই বধু কি নববধু? যদি নববধু না হন তা’হলে এর আগে আর কোনদিন কি তিনি এমনটি দেখতে পাননি? সঞ্জয় কি জীবনের এই প্রথম মানুষের মাংস খেতে যাচ্ছিলেন? সে অনেক প্রশ্ন থেকেই যায়!
|