গত আমন মৌসুমে কাউয়াদিঘী হাওরে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে আমাদের লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি করতে হয়েছে এবং এখন আবার বোরো মৌসুমে পানির অভাবে বোরো চাষ ব্যহত হচ্ছে দেখে স্মারকলিপি দেয়া এবং মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে একাধিকবার সাক্ষাৎ করে সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনা করতে হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন মহলের ক্ষমতা ও প্রশাসনকে হাতে নিয়ে হাওরের কৃষি ও হাওর ধ্বংস করে এক শ্রেণির মানুষ রাতারাতি ধনকুবের হচ্ছে আর কৃষক বারবার এই শ্রেণির মানুষের দ্বারা নিপিড়নের শিকার হচ্ছে। একদিকে বলা হচ্ছে এক ইঞ্চি জায়গাও অনাবাদি রাখা যাবে না কিন্তু কৃষক আবাদ করতে গেলেই বিভিন্ন প্রকার প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়। সার, ডিজেল, কীটনাশক ও বীজসহ সকল কৃষি উপকরণের দাম বাজারে চড়া, ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে কৃষি উৎপাদন খরচ। কিন্তু কৃষকেরা হাড়ভাঙ্গা খাটুনির দিয়ে ফসল উৎপাদন করলেও আজ পর্যন্ত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হয়নি। হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটি এই সকল অপনীতির বিরুদ্ধে হাওরের কৃষক ও কৃষি রক্ষায় আপসহীন ভাবে লড়ে যাচ্ছে এবং আগামীতেও এরই ধারাবাহিকতায় কৃষকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে জোরদার আন্দোলন করবে। পাশাপাশি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বোরো চাষের সকল প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করতে হবে এবং মনু সেচ প্রকল্পের পুনঃমেরামত করে কাউয়াদিঘী হাওরাঞ্চলে চাষের সকল প্রতিবন্ধকতা অবশ্যই অপসারণ করতে হবে। আলোচনা শেষে উপস্থিত সকলের মতামতের ভিত্তিতে মোঃ শামসুদ্দিন মাস্টারকে আহ্বায়ক এবং খছরু মিয়াকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটি রাজনগর উপজেলার শাখার নতুন কমিটির গঠন করা হয়। নবগঠিত কমিটি সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুমোদন করেন সভাপতি মঈনুর রহমান মগনু এবং সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদ চৌধুরী। |