মৌলভীবাজার জেলা অটোটেম্পু, অটোরিকশা, বেবি, মিশুক, সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন(রেজিঃ নং চট্ট- ২৩৫৯) এর সভাপতি পাভেল মিয়া ও সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও মামলাকে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যামামলা বলে অভিহিত করে এর তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। প্রতিবাদ স্বরূপ গত ১১ অক্টোবর মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন যে, রাজনৈতিক মদদপুষ্ট একটি অশুভ চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ অসতোদ্দেশ্যে তাদের সংগঠনকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। মামলাকারীদের অশুভ চক্র আখ্যায়িত করে সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, তাদেরই একজন আসন্ন ইউপি নির্বাচনে ৬নং একাটুনা ইউপির চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। শ্রমিক সংগঠনটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়া এবং এরও পাশাপাশি ইউপি নির্বাচনে তাদের ওই সদস্য যাতে প্রার্থী হতে না পারেন সেজন্য ওই অশুভ চক্রটি নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমি আজিজুল হক সেলিম ও সভাপতি পাবেল মিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যামামলায় হয়রানী করা হচ্ছে। আমাদের সাংগঠনিক কোন ধরণের কোন সমস্যা না থাকা সত্তেও সম্প্রতি বিভাগীয় শ্রম দপ্তর, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজারের উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলাম রহস্যজনকভাবে গত ২১/০৯/২০২০ইং শ্রম আদালত, সিলেটে আমাদের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা ফৌজদারী মামলা (নং- ৩০/২০২০) দায়ের করেছেন। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
অন্য পক্ষটিকে ‘অশুভ চক্র’ হিসেবে চিহ্নিত করে উক্ত সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো বলেন যে ওই চক্রটি ভূয়া আহ্বায়ক কমিটি গঠন, অবৈধভাবে শ্রমিকদের কাছ থেকে অর্থ আদায়, বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান এবং নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডের ভেতর দিয়ে শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। শুধু তাই নয় এই অপশক্তি সদর সহকারী জজ আদালতে মিথ্যা মামলা দিতেও ভয় পায়নি।(মামলা {(নং-৭৮/২০১৮ (স্বত্ব) }। যে মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে সংবাদপত্রের মাধ্যমে বৈধ শ্রমিক সংগঠনের প্রতিবাদের মুখে শ্রম অধিদপ্তর তা বাতিল করেছিল।কিন্তু পরবর্তীতে ওই উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বদলী হবার আগের দিন সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ওই অশুভ চক্রের অনুকুলে ০০৪ নামে একটি শ্রমিক সংগঠনকে অনুমোদন দিয়ে দেন। একটি নতুন শ্রমিক সংগঠন করতে হলে শতকরা ৬০ ভাগ শ্রমিকদের স্বাক্ষরিত মতামত নিয়ে গঠন করতে হয়। কিন্তু ২ ভাগ শ্রমিকেরও স্বাক্ষরিত মতামত না নিয়ে ০০৪ সংগঠনের অনুমোদন দেয়া হয়। অনুমোদন দেয়ার পর থেকে চক্রটি বিভিন্ন স্ট্যান্ড দখলের চেষ্টাসহ নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন থানায় পক্ষে বিপক্ষে একাধিক মামলা রয়েছে। গত কিছুদিন পূর্বে ওই চক্রটি মৌলভীবাজারের ইমামবাজারে জোরপূর্বক ০০৪ সংগঠনের স্ট্যান্ড দেয়ায় শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলে কিছু ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে এক শ্রমিককে হত্যা করা হয়। এখনো বিভিন্ন স্থানে ওই চক্রটির হাঙ্গামাার আশংকা বিদ্যমান রয়েছে। |