“বাড়িত যে ধান তুলা অইছে, রইদর অভাবে সব ধান পঁচিয়া(পঁচে) যারগি(যাচ্ছে) -কৃষক সুয়েজ আলী
আব্দুল ওয়াদুদ।। পর্যটন জেলা হিসেবে খ্যাত ও দেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকি অধ্যুষিত মৌলভীবাজারের হাওর অঞ্চলে অবশিষ্ট ৯ হাজার হেক্টর ধান নিয়ে কৃষকেরা পড়েছেন মহাবিপাকে। ঠানা সপ্তাহ ধরে ঝড়-বৃষ্টির কারণে হাওরে ধান কেটে বাড়িতে তুলতে পাড়ছেনা কৃষকেরা। বাদলা দিনে যতটুকু ধান বাড়িতে তুলেছেন তা রোদে শুকানোর অভাবে এখন পঁচন ধরতে শুরু করেছে কৃষকের ঘরে ঘরে। এখন কালবৈশাখীর কালো মেঘের বৈরী আবহাওয়ায় কৃষকরা প্রানের ভয়ে হাওরে গিয়ে অবশিষ্ট পাকা ফসলের মূখও দেখতে হিমশিম খাচ্ছেন। গেল ক’দিনের বজ্রপাতে মৌলভীবাজারে মাঠে গিয়ে মারা গেছেন দুজন। এখন বজ্রপাতের ভয়ে হাওরে না গিয়ে কাঙ্খিত রোদের অপেক্ষা করছেন কৃষকেরা।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জেলায় এ পর্যন্ত ৮০ভাগ বোরো ধান কেটেছেন কৃষকেরা। হাওর অঞ্চল থেকে কাটা হয়েছে ৯৯ভাগ। কুলাউড়া ও বড়লেখায় ৯৯ ভাগ, জুড়ীতে ১শ ভাগ, রাজনগরে ৭০ ভাগ, কমলগঞ্জে ৭৫ ভাগ, শ্রীমঙ্গলে ৫৫ ভাগ ও সদর উপজেলায় ৮৫ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। কাউয়াদীঘি হাওরে ১৬০ হেক্টর জমির পুরো ধান কাটা বাকি রয়েছে এখনো । জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শাহজাহান বুধবার এ প্রতিবেদককে জানান, জেলা জুড়ে ৫৪ হাজার হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। এ পর্যন্ত (গত মঙ্গলবার) ৪৫ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। বাকি রয়েছে ৯ হাজার হেক্টর। তিনি আরো বলেন, জেলায় এবছর ২ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন ধান কাটার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ায় হাওরে কৃষকের ধান পঁচে যাচ্ছে কিনা এমনটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারদিনের বৃষ্টিতে হাওরে ধানের কোন ক্ষতি হবেনা। যেহেতু ধান পানিতে তলিয়ে যায়নি এখনো।
কাউয়াদীঘি হাওর পাড়ের ফতেপুর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের কৃষক সুয়েজ আলী বলেন, তার ৪০ কিয়ার জমির মধ্যে ১০ কিয়ার জমির ধান কাটা এখনো বাকি। তিনি ৩০ কিয়ার চুক্তি বাগি (দত্তক) দিয়ে দেড়শ মন ধান ঘরে তুলেছেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে হাওরে কাটা ধান বৃষ্টিতে পঁচে যাবার উপক্রম। তাছাড়া হাওর পাড়ের একমাত্র সড়কে কাঁদা জমে থাকায় গাড়ি বোঝাই করে ধান মোটেও আনা যাচেছনা। আরো ৪/৫দিন বৃষ্টি হলে কাউয়াদীঘি হাওরের পুরো ধান পঁচে নষ্ট হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, ধারাবাহিক বাদলির কারণে তার গ্রামের আরো ৫০-৬০ জন কৃষকের প্রায় দেড়শ কিয়ারের কাটা ধান জমিতে পড়ে আছে।
তিনি বলেন, “বাড়িতে যে ধান তুলা অইছে, রইদর অভাবে সব ধান পঁচিয়া(পঁচে) যারগি(যাচ্ছে)। ওই গ্রামের কৃষক আব্দুল হাকিম লাল মিয়া বলেন, তিনি ৮-৯ কিয়ারের পুরো ধান চুক্তি বাগি(দত্তক) দিয়ে বাড়িতে তুলেছেন। শুকানোর অভাবে স্তুপিকৃত সকল ধান পচেঁ যাবার উপক্রম।
মৌলভীবাজারে শব্দচর সাহিত্য ফোরাম(শসাফো) এর প্রথম সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বৃহস্পতিবার বিকেলে। মাসিক শব্দচর কার্যালয়ে শসাফো সভাপতি আবদুল হাই ইদ্রিছী’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মামুন আবদুল্লাহ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সাহিত্য আসরে সাহিত্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুক্ত আলোচনায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিলো আসরটি।
আসরে স্ব-রচিত ছড়া-কবিতা পাঠে অংশ নেন আবদুল হাই ইদ্রিছী, চৌধুরী শামসুল আরেফিন, মামুন আবদুল্লাহ, জিয়াউল হক জিয়া, রফিকুল ইসলাম জসিম, পলাশ দেবনাথ প্রমুখ।
মৌলভীবাজার শহরের এসআর প্লাজায় শাওমি(এমআই) মোবাইল ব্রান্ডের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে মৌলভীবাজারে এই প্রথম এক অনাড়ম্বর পরিবেশে বিদেশেী এই কোম্পানীটির ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন করেন শাওমি মোবাইল(এসইবিএল) এর রিজিনাল ম্যানাজার দ্বীন ইসলাম রানা। এসময় উপস্থিত ছিলেন-এসআর প্লাজা মার্কেট সভাপতি মসুর আকন্দ, সেক্রেটারী সোয়েব আহমদসহ অনেকেই।