সিলেট: সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পাঠানপাড়া শিববাড়ী এলাকায় ’আতিয়া মহল’ নামের যে বাড়িটিকে ভোর থেকে ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সে বাড়ির মালিক উস্তার আলী। ’জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে শুক্রবার ভোর থেকে ওই বাড়িটি ঘিরে রাখেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেখানে কাওসার আহমেদ এবং মর্জিনা বেগম নামে দুই ’জঙ্গি’ অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে তারা।বাড়িটির মালিক উস্তার আলী বলেন, জানুয়ারিতে কাউসার আলী আর তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম আমার বাসায় ভাড়া নিতে এসেছিলো। তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়েই আমার কাছ থেকে বাড়ি ভাড়া নেয়। এ জন্য সরকারের একটি প্রেসক্রাইব ফর্ম আছে।
তারা আমারে সাপ্লাই দিছে। সেই ফর্মে তাদের ডেইটলস লইয়া, পার্টিকুলার লইয়া আমি ভাড়া দিছি। বউ আর সে থাকবে। বউয়ের আইডি কার্ড লইছি, তারও আইডি কার্ড লইছি।
ফরম ফিলাপ কইরা, ফটো লইয়া, সিগনেচার লইয়া, প্রফেসন লইয়া আমি তারে ভাড়া দিছি। তিনি বলেন, ফর্মে প্রফেশন ছিল না। আমি আলাদা করে লিখাইছি। তিনি আমাকে বলেছিলেন, সে প্রাণের অডিট অফিসার।
বাড়ির মালিক আরো বলেন, সব কাগজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়া গেছে। এ বিষয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আখতারুজ্জামান জানান, বাড়ির ভেতর থেকে কাওসার আহমেদ নামের একজন বলেন, তারা আল্লাহর রাস্তায় আছেন।তারা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না। সোয়াত বা অন্য কোনো বিশেষ টিম এলে তাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তারা আত্মসমর্পণ করতে পারেন। এর আগে, বিকেল ৪টার দিকে সেখানে পৌঁছায় পুলিশের বিশেষ বাহিনী সেয়াট। উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোর থেকে বাড়িটি ঘেরাও করে চারপাশে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বাড়িটিতে চারতলা ও পাঁচতলা বিশিষ্ট দুটি ভবন রয়েছে। ভোরে জঙ্গিরা ’আল্লাহু আকবার’ বলে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে সকাল ৯টা থেকে পুলিশ ভবন লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি ছুড়ছে। সকাল থেকেই ওই ভবন থেকে কেউ বের হতে পারেননি। এ ছাড়া সকাল থেকে ওই ভবনের আশপাশের ভবনগুলোতে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। (জানাঅজানা.কম থেকে)