মুক্তকথা, লন্ডন: রোববার ৯ই অক্টোবর ২০১৬।। “ইসলামকে যারা অপদস্ত করেছে তাদের হত্যাকরতেই হবে” এমন একটি ধর্মীয় উগ্রবাদী লিপলেটের কথা প্রকাশ করেছে লন্ডনের মেট্রোপলিটান পুলিশ যা লন্ডনের একটি মসজিদে প্রচার করা হয়েছিল। লন্ডনের “ওয়ালথামস্টো দারুল উলুম কাদরিয়া জিলানিয়া মসজিদ” এ পবিত্র জুমার নামাজের সময় বিলিকৃত ওই প্রচারপত্রে ইসলামের হাদিসের বর্ণনা দিয়ে কেনো এদের হত্যা করতে হবে তার ব্যাখ্যা দেয়া ছিল।
প্রচারপত্রের সাথে ওই মসজিদের ইমামের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে এমন একটি খবর লিখেছে পত্রিকা “ইভিনিং ষ্টেন্ডার্ড”। কিন্তু মসজিদের ইমাম সৈয়দ আব্দুল কাদির জিলানী তা শক্তভাবে অস্বীকার করেছেন, লিখেছে “দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট”। ইমাম বলেছেন যে ওই প্রচারপত্রের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই এবং এর বক্তব্যের সাথেও তিনি কোনভাবেই একমত নন।
গত এপ্রিল মাসে দক্ষিন লন্ডনের একটি মসজিদে অনুরূপ প্রচার পত্র বিলি হতে দেখা গিয়েছিল। ওই প্রচার পত্রে লিখা ছিল- “৩ দিনের মধ্যে আহমদিয়ারা ইসলামের মূল ধারায় যোগ না দিলে তাদের চরম শাস্তি পেতে হবে।” আর এই চরম শাস্তি ইসলাম ধর্মের মতে “কতল” মানেই হল হত্যা।
সর্বপ্রথম বিবিসি এ খবর প্রচার করেছিল ফলে চ্যারিটি কমিশন ওই মসজিদ পরিচালনাকারী স্বেচ্চাসেবী প্রতিষ্ঠান “আলামী মজলিশে তাহাফুজে খতমে নবুওয়াত”এর বিষয়ে একটি প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত চালু করে। তদন্তকারী কর্তা এক বিবৃতিতে “দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট”কে জানিয়েছেন যে গত মে ও জুলাই মাসে তারা মসজিদে তদন্তের জন্য যান এবং চ্যারিটি সংগঠনটি পরিচালনায় ব্যাপক ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়েছে। বিশেষ করে ট্রাস্টিদের নিয়ম বহির্ভুত কার্য্যকলাপ, অদক্ষ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা তথা সামগ্রিকভাবে অদক্ষ পরিচালনা স্বেচ্চাসেবী প্রতিষ্ঠান ও তার নিজস্ব ইমারতের জন্য খুবই হুমকি স্বরূপ। ট্রাস্টিদের দায়-দায়ীত্ব নিয়েও তদন্ত চলছে। লিখেছে “দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট”।
(ইন্ডিপেন্ডেন্ট ও ষ্টেন্ডার্ড অবলম্বনে)