মুক্তকতা: লন্ডন।। গুজরাট চালাতে পারেনা, নজর দেয় বাংলার দিকে! আমাকে চোখ রাঙিয়ে কথা বলবেন না! কারও চোখ রাঙানিকে আমি বরদাস্ত করি না। ও আমার সহ্য হয় না! বীরপাড়া থেকে বর্তমানে লিখেছেন দেবাঞ্জন দাস। লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যাণার্জীকে নিয়ে। আর রাজনীতিক মমতা এমনই। পোড় খাওয়া রাজনীতিক কি-না। রাজনীতির চোখ রাঙানী কেয়ার করেন থোড়াই! রাজনীতিতে যা বলার এভাবে সোজাসুজিই বলে দেন। আর দেবাঞ্জনও খুব মজা করে লিখেছেন। বীরপাড়া গিয়ে মমতা না-কি বলেছেন- এবার গুজরাত-উত্তরপ্রদেশে গিয়ে সংগঠন করব। আমাকে টার্গেট করলে, দিল্লিকে নিশানা করব আমিও।
নাম না করে অমিত শাহসহ বিজেপি’র শীর্ষকর্তাদের এই ভাষাতেই পালটা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বীরপাড়া সার্কাস ময়দানে সরকারি পরিষেবা প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত এক জনসভায় মমতা বলেন, বাংলার এই মাটি দুর্জয় ঘাঁটি। এই মাটিতে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে। বড্ড তাড়া! কখনও বলছে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করব, কখনও ৩৫৮ ধারা, কখনও সিবিআইকে দিয়ে জেলে পুরে দাও আবার কখনও ইডি’কে লেলিয়ে দাও! মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ভয় পেয়েছে বলেই ওরা ভয় দেখাচ্ছে। যারা গুজরাত সামলাতে পারে না, তারা বাংলা সামলাতে এসেছে! বরং আগামী দিনে দিল্লিকে পথ দেখাবে বাংলাই। অমিত শাহের নাম না করে তৃণমূল নেত্রীর খোঁচা, সকালে লোক দেখিয়ে বস্তিতে খাওয়াদাওয়া, আর রাতের ভোজন পাঁচতারায়। এটা কী দ্বিচারিতা! আলিপুরদুয়ার জেলায় বিজেপি’র একমাত্র জেতা আসন মাদারিহাট বিধানসভার অন্তর্গত বীরপাড়ায় এদিনের সভাস্থল নির্বাচনটা মমতার রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচায়ক বলেই মনে করছে রাজনীতির পরিচিত মহল।