লন্ডন: বৃহস্পতিবার, ২০শে পৌষ ১৪২৩।। নরওয়ের সামরিক বাহিনীর প্রধান ‘ওদিন জোহান্নেসেন’ হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন ইউরোপীয়ান দেশগুলো নিশ্চয়ই দেখছে ও পড়ছে এবং ইউরোপকে ঐক্যবদ্ধ রাখার তাগিদে নিজেদের মূল্যবোধকে সংরক্ষনের জন্য বিপ্লবী ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইচ্ছুক হবে। অসলো সামরিক সমাজে গত সোমবার এক বক্তব্যে জোহান্নেসেন বলেন, “আমি মনে করি, কথা ও কাজের মধ্য দিয়ে লড়াই করার জন্য আমাদের তৈরী হয়ে নেয়া উচিৎ, এবং প্রয়োজনে অস্ত্র দিয়েও লড়াই করতে হবে আমাদের দেশ ও আমাদের সাধারণ মূল্যবোধ রক্ষার্থে।”
প্যারিসে ইসলামি সন্ত্রাসীদের আক্রমনের কথা উল্লেখ করে জোহান্নেসেন বলেন, “ইউরোপ কখনও শান্তি ও নিরাপদে থাকতে পারবে বলে আশা করতে পারে না তাদের স্বার্থ ও মূল্যবোধকে সুরক্ষা না করে।” সামরিক প্রধান আরও বলেন এবং তিনি জোর দেন উপযুক্ত সামরিক প্রশিক্ষন এবং যথোপযুক্তভাবে অস্ত্র সজ্জিত সামরিক বাহিনীর উপর। তিনি মনে করেন, কেউই যুদ্ধে জয় অর্জন করতে পারবেনা যদি না অবনীতে তার মানুষ না থাকে। “জোহান্নেসেন”এর মন্তব্য ইউরোপীয় দেশের অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তারদের বক্তব্যকে তুলে ধরে।
গত সপ্তাহে তুলে ধরা হয়েছে সুইডেনের সামরিক প্রধান জেনারেল এন্ডার্স ব্রাননস্ট্রম’এর একটি আদেশ, যে আদেশে তিনি তার সৈনিকদলকে কয়েক বছরের মধ্যে তৈরী হয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তার মতে, ইউরোপে একটি দক্ষ-পরিপক্ষ বিরুধী পক্ষের সাথে যুদ্ধের জন্য তাদের প্রস্তুত হতে হবে। “জেনারেল এন্ডার্স ব্রাননস্ট্রম” আরো লিখেছেন-“যে বিশ্ব পরিবেশ আমরা দেখছি তাও রাজনীতিবিদদের কৌশলগত সিদ্ধান্তের কথাই তুলে ধরে এবং আমাদের এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে বলে দেয় যে আমরা কয়েক বছরের মধ্যে একটি যুদ্ধের সন্মুখীন হতে চলেছি।”
গত ডিসেম্বরে সুইডেনের সামরিক প্রধান এন্ড্রে ব্লাটমান সাবধান করে দিয়ে বলেন, সামাজিক বিশৃঙ্খলার ঝুঁকি ইউরোপে বৃদ্ধি পাচ্ছে অতএব নাগরীকগনকে নিজেদের অস্ত্রসজ্জিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, “সন্ত্রাসের হুমকি বাড়ছে, বড় বড় যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী চলছে; অর্থনীতির চেহারা খুবই বিষাদময় এবং যুদ্ধের কারণে দেশত্যাগী শরণার্থীদের ঢল এক অদেখা অশণি সংকেতের আভাষ দিচ্ছে।”
গত অক্টোবরে, জার্মানীর বড় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, চেঞ্চেলার এঞ্জেলা মার্কেলকে বলেছেন চেঞ্চেলারের শরণার্থীদের জন্য খোলা সীমান্ত কৌশল এর কারণে মধ্যবিত্তরা বিপ্লবী পরিবর্তনকামী হয়ে উঠছে এবং দেশের ভেতরেও আইন অমান্যতা বেড়ে উঠছে।
আগ্নেয়াস্ত্র ও অন্যান্য অস্ত্র-সস্ত্র বিক্রি জার্মানী ও অস্ট্রিয়াকে আলোড়িত করেছে, শরণার্থীদের বিশ্বাসঘাতকতামূলক আক্রমণ বেড়েই চলেছে।
এরই মধ্যে ফ্রান্সের নিরাপত্তা সৈনিকরা অসন্তোষ প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং শরণার্থীদের বিপ্লবী করে তুলেছে পুরো ‘নেইবারহুড’গুলি নিয়ে। ফরাসী সামরিক বাহিনী তৈরী করছে অঞ্চলগত পরিকল্পনা জাতীয় এলাকা পুনোপযুক্তি করণের জন্য”, পুরঃ জয়করার জন্য শহরের এলাকাসমূহ, যখন শরণার্থী জনগোষ্ঠী অস্ত্র নিচ্ছে এবং খোলামেলাভাবেই কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধাচরণ করছে। (ফ্রিডম ডেইলি অনলাইন থেকে)