জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জন্মসনদ নিয়ে চলছে রমরমা অর্থ বানিজ্য। ইউনিয়ন ডিজিটেল কেন্দ্রের কর্মীদের বেতন দেয়া হয় জন্মসনদ নিতে আসা মানুষের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে। সারাদেশেই স্কুল – কলেজের শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি’র জন্য তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে জন্ম সনদ সংগ্রহ করতে মানুষজন ছুটছেন ইউনিয়ন অফিসে৷ জন্ম সনদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুনতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ। সরকার নির্ধারিত ফি মাত্র পঞ্চাশ টাকা হলেও প্রতিটি জন্মসনদের জন্য নেয়া হচ্ছে প্রায় দুইশ থেকে চারশ টাকা আর জন্ম তারিখ সংশোধন আবেদনের জন্য সরকার নির্ধারিত একশ টাকা ফি এর জায়গায় নেয়া হচ্ছে পাঁচশ থেকে ছয়শ টাকা৷
করোনাকালে এমনিতেই মানুষজন আর্থিকভাবে সংকটে এর উপর জন্ম সনদের বাড়তি অর্থ মরার উপর খাড়ার ঘায়ের মতো। ২নং পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের সোনারুপা চা বাগানের বাসিন্দা বিপুল কর্মকার বলেন, “আমাদের ইউনিয়নে জন্ম সনদের জন্য প্রায় তিনশ টাকা নেয়া হয়। উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষজন ও বাগানের দরিদ্র চা শ্রমিকদের জন্য দুইশ টাকাই দুই হাজার টাকার সমান।” ৩নং পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা সুমিত জানান তাদের ইউনিয়নেও প্রায় দুই তিনশ টাকা নেয়া হয়। অন্যান্য ইউনিয়নে খোঁজ নিয়েও জানা যায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে৷ এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন- ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের কর্মীদের সরকার থেকে বেতন দেয়া হয়না। সব ইউনিয়নেই এমন বাড়তি নিচ্ছে তাই আমরাও নিচ্ছি।
|