1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
এই জন জনপদে- মুক্তকথা
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন

এই জন জনপদে-

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ৪৯৮ পড়া হয়েছে

সৈয়দ বয়তুল আলী।। মৌলভীবাজারে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষকরা আমন ধান ঘরে তুলতে শুরু করেছেন। পাকা আমন ধানের গন্ধে ভরে উঠছে আবহমান গ্রামীন জনপদ। সোনালি মাঠ এখন হেমন্তের পাকা ধানে ভরপুর। মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে ধান কাটার উৎসব। কৃষক-কৃষাণীরা এখন ধান কাটা, বাড়িতে আনা, মাড়াই দেওয়া,মাড়াইকৃত ধান শুকিয়ে গোলায় তুলতে ব্যাস্থ সময় পার করছেন।এ বছর জেলায় আমনের ফলন ভাল হয়ায় খুশি কৃষকরা।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়,এ বছর মৌলভীবাজার জেলায় আমন ধান চাষাবাদে জমির পরিমানের লক্ষমাত্রা ছিল ১ লক্ষ,১ হাজার ৪শত ৫৬ হেক্টর,তন্মধ্যে আবাদ হয়ে১ লক্ষ ১শত ৫০ হেক্টর।আবাদ কৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৩শত ৫৯ মে:টন ধান।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় জমির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ হাজার ৩ শত ২৭ হেক্টর তার মধ্যে আবাদ হয়েছে ১৭ হাজার ৯শত ৫০ হেক্টর।আবাদ কৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫১ হাজার ৪ শত ৯৯ মে: টন ধান।
শ্রীমঙ্গলে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ হাজার ৬ শত ৩০ হেক্টর তার মধ্যে আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৩শত ৫০ হেক্টর।আবাদ কৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৩ হাজার ১ শত ৩৩ মে: টন ধান।
রাজনগরে আবাদকৃত জমির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ হাজার ৬ শত ১৭ হেক্টর তার মধ্যে আবাদ হয়েছে ১২ হাজার ৬শত ১৩ হেক্টর।আবাদ কৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ৪ শত ৪২ মে: টন ধান।

কমলগঞ্জে জমির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৯ শত ১৩ হেক্টর এর মধ্যে আবাদ হয়েছে ১৭ হাজার ৩শত হেক্টর।আবাদ কৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার ৩ শত ৩৫ মে: টন ধান।
কুলাউড়ায় জমির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার ৩ শত ১৫ হেক্টর তার মধ্যে আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৯শত ৫০ হেক্টর।আবাদ কৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৭ হাজার ৮৫ মে: টন ধান।
বড়লেখায় জমির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার ১ শত ৩৮ হেক্টর তার মধ্যে আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৫শত ৪০ হেক্টর।আবাদ কৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৯ শত ৯৭ মে: টন ধান।
জুড়িতে জমির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার ৫ শত ১৬ হেক্টর তার মধ্যে আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৪শত ৪৭ হেক্টর।আবাদ কৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৮ শত ৬৮ মে: টন ধান।
রাজনগর উপজেলার কৃষক আজাদ মিয়া বলেন, এবার সাত একর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারের সঠিক মূল্য পেলে ধানের ভর্তুকী দিতে হবেনা।

সামছুল মিয়া, রেনাই মিয়া, জিল্লুর রহমান সহ অনেকেই বলেন অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আমন ধানের ফলন ভাল হয়েছে।আশাকরি সঠিক বাজার মূল্য পেলে কিছু লাভবান হবো।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী (কৃষিবিদ) জানান, এবার এ জেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ না তাকায় ও সময় মত বৃষ্টি হওয়ার করনে রোগ বালাই থেকে ফসল মুক্ত ছিল তাই আমনের ফলন ভাল হয়েছে।
জেলায় এ বছর জমির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৫৬ হেক্টর তার মধ্যে আবাদ হয়েছে ১ লক্ষ ১ শত ৫০হেক্টর।আবাদ কৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৩ শত ৫৯ মে:টন ধান।

মৌলভীবাজারে জনবল সংকটে কৃষি বিভাগ, ব্যাহত হচ্ছে কৃষি সেবা

হাওর অধ্যুষিত,ছোট বড় টিলা ও পাহাড় বেষ্টিত কৃষি সমৃদ মৌলভীবাজার জেলায় কৃষি বিভাগে জনবল সংকট থাকার কারণে ব্যহত হচ্ছে কৃষি সেবা ।যার ফলে প্রকৃত কৃষি সেবা থেকে বি ত হচ্ছে জেলার সাতটি উপজেলার মাঠ পর্যায়ের কৃষকরা।জেলার সাতটি উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে মাঠ পর্যায় কর্মরত উপ-সহকারীর কৃষি কর্মকর্তাদের অর্ধেক পদ খালি।খালি পদগুলো আতি দ্রুত পূরণ করা না হলে এ জেলার কৃষকরা কৃষিক্ষেত্রে পিচিয়ে পড়ার আশঙ্খা রয়েছে এবং সঠিক পরামর্শের অভাবে কৃষকরা দিন দিন ক্ষতিগস্ত হচ্ছেন।
জেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, জেলায় বোর মৌসুমে বোর ধান চাষের জন্য রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তর হাওর হাকালুকি ,কাউয়া দিঘি,বাইক্কা বিল,হাইল হাওর,করাইয়ার হাওর,বড় হাওর সহ মোট ৬টি হাওর ।হাওর গুলোতে গেল বোর মৌসুমে ৪৯ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমিতে উফশী ও স্থানীয় জাতের ৩২১ হেক্টর এবং হাইব্রিড জাতের ধান চাষ হয়েছিল ২৪৬৬ হেক্টর ।চলতি মৌসুমে আমন ধানের আবাদ হয়েছে ১ লক্ষ ১শত ৫০ হেক্টর জমিতে।এছাড়াজেলার জুড়ি, বড়লেখা কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় ১৪৬টি কমলা বাগানে সুস্বাদু কমলার।জেলর টিলাগুলোতে রয়েছে ৩২০টি মালটার ও ১ হাজার ৮ শত লেবুর বাগান এবং খাসিদের পান চাষ।প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে টমেটো,বেগুন,আলুসহ বিভিন্ন রকম সবজি চাষ হয়।
সূত্র আরো জানায়,মৌলভীবাজার সাতটি উপজেলায় মাঠ পর্যায় কর্মরত উপ-সহকারী পদে অনুমোদিত ২০৫জন কর্মকর্তার মধ্যে কর্মরত আছেন ১০৪ জন।পদ শূন্য রয়েছে ১০১।
সদর উপজেলায় মাঠ পর্যায় উপ-সহকারী পদে অনুমোদিত ৩৭ জন কর্মকর্তার মধ্যে কর্মরত আছেন ১৮ জন।পদ শূন্য রয়েছে ১৯ জনের
কুলাউড়ায় মাঠ পর্যায় উপ-সহকারী পদে অনুমোদিত ৪০ জন কর্মকর্তার মধ্যে কর্মরত আছেন ১৬ জন।পদ শূন্য রয়েছে ২৪ জনের।
ঊড়লেখায় মাঠ পর্যায় উপ-সহকারী পদে অনুমোদিত ৩০ জন কর্মকর্তার মধ্যে কর্মরত আছেন ১৬ জন।পদ শূন্য রয়েছে ১৪ জনের।
জুড়িতে মাঠ পর্যায় উপ-সহকারী পদে অনুমোদিত ১৮ জন কর্মকর্তার মধ্যে কর্মরত আছেন ৮ জন।পদ শূন্য রয়েছে ১০ জনের।
রাজনগরে মাঠ পর্যায় উপ-সহকারী পদে অনুমোদিত ২৪ জন কর্মকর্তার মধ্যে কর্মরত আছেন ১২ জন।পদ শূন্য রয়েছে ১২ জনের।
শ্রীমঙ্গলে মাঠ পর্যায় উপ-সহকারী পদে অনুমোদিত ২৮ জন কর্মকর্তার মধ্যে কর্মরত আছেন ১৫ জন।পদ শূন্য রয়েছে ১৩ জনের।
কমলগঞ্জে মাঠ পর্যায় উপ-সহকারী পদে অনুমোদিত ২৮ জন কর্মকর্তার মধ্যে কর্মরত আছেন ১৯ জন।পদ শূন্য রয়েছে ৯ জনের।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্পসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক,কাজী লুৎফুল বারী জানান,মৌলভীবাজারে ২০৫টি কৃষি ব্লক রয়েছে।মাঠ পর্যায় উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সংকট রয়েছে যার কারনে একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ২টি ব্লকের আবার কোতায়ও ৩টি ব্লকের দায়িত্ব পালন করছেন।জনবল সংকট থাকার কারণে কিছুটা হলেও মাঠ পর্যায় সেবা ব্যাহত হচ্ছে।তবে সীমিত জনবল দিয়ে আমরা আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছি মাঠ পর্যায় কৃষকদের সেবা দিতে।

রাজনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালত : ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

মৌলভীবাজার অফিস।। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার খেয়াঘাট বাজার ও মোকামবাজারে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
১ নভেম্বর রোববার সন্ধ্যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেছার উদ্দিনের নেতৃত্বে রাজনগর উপজেলার খেয়াঘাট বাজারে প্রীতি মিষ্টান্ন ভান্ডারকে অপরিচ্ছন্ন ভাবে খাবার তৈরি ও সরবরাহ করার দায়ে ভোক্তা অধিকার আইনের ৫৩ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় খেয়াঘাট বাজারের জে সিএন ক্যাবল নেটওয়ার্কে ব্রাহ্মমাণ আদালত গেলে কর্তৃপক্ষ কাউকে পাওয়া যায়নি এবং কেবল নেটওয়ার্ক এর কার্যালয় বন্ধ পাওয়া যায়।

এরপর মোকামবাজার এর জেরিন স্টোর কে বিভিন্ন নিষিদ্ধ পণ্য এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রি করার দায়ে ভোক্তা অধিকার আইনের ৫৩ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
প্রীতি মিষ্টান্ন ভান্ডার কে জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেসার উদ্দিন ও জেরিন স্টোরকে কে জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT