বামজোটের ভাষায়- আমরা সেটার অংশীদার হতে প্রস্তুত নই, কাজেই আমরা বলেছি রাষ্ট্রীয় বিদ্যমান মূলনীতির সাথে যদি এগুলো থাকে আমাদের কোনোই আপত্তি নেই কিন্তু সুকৌশলে রাষ্ট্রীয় বিদ্যমান চার মূল নীতি তারা আমাদের আমাদেরকে দিয়েই বাতিল করাবে এটি হয় না।
মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতি গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ প্রশ্নে কোন আপোষ নয়। আমরা আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখবো। যেখানেই থাকি না কেন অব্যাহত রাখবো এবং আমাদের আদর্শের পথ থেকে কোনভাবে কেউ বিচ্যুত করতে পারবে না। কারণ এইটা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে তিরিশ লক্ষ শহীদদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশ।
ইতিপূর্বে বিগত ১৭জুন তারিখে দৈনিক ইত্তেফাক লিখেছিল- “জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ বয়কট করেছে জামায়াতে ইসলামী। লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পরে যৌথ বিবৃতিতে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি ঘোষণার প্রতিবাদে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। মঙ্গলবার (১৭ জুন) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের মুলতবি অধিবেশনে দলটির নেতারা যোগ দিচ্ছেন না বলে জানা গেছে।”
আজ বেলা ১১টার পরে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপ শুরু হলেও জামায়াতের কোনো প্রতিনিধিদল যোগ দেয়নি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দলটির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল এবং এনসিপির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে যোগ দিয়েছে।
![]() |
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ফোনটি রিসিভ করেন। দলের নেতারা সংলাপে আসবেন কি না- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি ওনার সঙ্গে কথা বলে আপনাকে জানাচ্ছি। পরে তিনি বলেন, জামায়াত সংলাপে যোগ দিলে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের একটি সূত্র বলছে, আজকের বৈঠকে জামায়াত থাকবে না, বিষয়টি দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলছে, প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে হওয়া বৈঠকের যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে তাদের ‘ইগনোর’ করা হয়েছে বলে দাবি করছে দলটি। প্রতিবাদস্বরূপ তারা আজকের বৈঠকে যোগ দেবে না। কমিশনের পক্ষ থেকে দুই ঘণ্টা পরে হলেও তাদের যোগ দিতে অনুরোধ করা হয় বলে জানা গেছে।
জামায়াতের একটি সূত্র বলছে, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠককে তারা সাধুবাদ জানিয়েছে। কিন্তু যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণার মাধ্যমে তাদের ইগনোর করা হয়েছে, যা দৃষ্টিকটু। নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় দেশে এসে ঘোষণা করলে ভালো হতো বলে মনে করে তারা।