লন্ডন: বৃহস্পতিবার, ৬ই পৌষ ১৪২৩।। বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মিথসোনিয়ান.কম নামের একটি অনলাইন ওয়েব সাইটে একজন ‘লরেন বৈসনল্ট’ (Lorraine Boissoneault) “যে গণহত্যা আমেরিকা মনে রাখতে পারবেনা, বাংলাদেশ কোনদিন ভুলতে পারবে না” শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। নিবন্ধটি খুবই তথ্যনির্ভর।
বিশেষ করে ১৯৭১ সালের তথ্য যা চাইলেই পাওয়া যাবে এমন নয়। আইফোন সেই লেখাটি বিজয় দিবস উপলক্ষে আমাকে উপহার পাঠিয়েছে। প্রথমে কিছু আন্দাজ করতে পারিনি, এখনও যে কিছু বুঝতে পেরেছি তাও নয়। কিন্তু নিজের দেশের বিষয়ে লেখা, না জেনেই পেয়েছি বিনে খরচে অতএব এক লহমায় পড়ে নিলাম।
পড়তে গিয়ে দেখলাম বেশ কিছু সত্যতথ্য দিয়ে নিবন্ধটি সাজানো। তাই অনুবাদের চিন্তা মাথায় এলো। আর সে চিন্তা থেকেই এই অনুবাদ পাঠকদের জন্য।
লরেন বৈসনল্ট(Lorraine Boissoneault) শুরু করেছেন তৎকালীন ঢাকায় নিযুক্ত আমেরিকান কনসুলেট মি: ব্লাড-এর পাঠানো বিবরণীর কথা দিয়ে। একাত্তুরের ওই সময়, আমেরিকান কূটনীতিক ‘আর্চার ব্লাড’ তখন ঢাকায় আমেরিকার কনসাল জেনারেল। আর্চার ১৯৭১ এর ৬ই এপ্রিল ওয়াশিংটনকে জানাতে গিয়ে লিখিতভাবে বলেছিলেন- “আমাদের সরকার গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করে নিষ্পেষণ চালানোর বিরুদ্ধে কথা বলতে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের সরকার প্রকাশ্যে নিষ্ঠুর নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের সরকার সাক্ষ্য দাড় করিয়েছেন, যা আমাদের অনেকেই নৈতিকতার দেউলিয়াপনা বলবে।”
আর্চারের ওই কথাগুলো দিয়েই Lorraine Boissoneault তার লেখা শুরু করেছেন। রক্তাক্ত নির্দয় হ্ত্যালীলা যা অবশেষে বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিল তারই মাঝে কূটনীতিক ব্লাড দু সপ্তাহ তার উপরের এই দ্রুত বার্তা (ডেচপাচ) লিখেছিলেন। আর্চার ব্লাড লিখেছিলেন- “অসম্ভব রোয়ান্ডান গণহত্যা অথবা গণহারে পুড়িয়ে মারা অথবা যে গণহত্যা যুগোস্লাভিয়াকে ভেঙ্গে দিয়েছিল…”, এ প্রেক্ষিতেই Lorraine Boissoneault লিখছেন-বাংলাদেশের সেই গণহত্যা যা ৪৫ বছর আগে আজকের এই সপ্তাহে সংগঠিত হয়েছিল, সাধারণ মানুষের মন থেকে তা সরে গেছে যদিও সর্বোচ্চ হিসেবে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। চলমান বিতর্ক যে, কিভাবে বা যদি আমেরিকা সিরিয়া এবং আলেপ্পো’তে আটকে পড়া মানুষের উদ্ধারে সহযোগীতা করতে পারে তা’হলে সেদিন আমেরিকা বাংলাদেশে গণহত্যার বিষয়ে কি সাড়া দিয়েছিল(?) তা বুঝা খুবই কঠিন।
Lorraine Boissoneault লিখছেন- “১৯৪৭ সালে বৃটিশ ভারত ভাগ হল ধর্মের ভিত্তিতে। জন্ম হয়েছিল পাকিস্তান ও হিন্দুস্তানের। ভারতের ধর্মীয় সংখ্যাগুরু হিন্দু আর মুসলমানদের জন্য। কিন্তু বন্টনের এ কোন মানদন্ড তা বুঝা মুশ্কিল। একই ভূ-খন্ড দুভাগ হল, একপক্ষ পেয়েগেল দু-টুকরো তাও আবার হাজার মাইলের ব্যবধানে যেখানে দেশ হিসেবে নিয়মী যোগাযোগের উপায়হীন দু’টি এলাকা।”
“পূর্ব-পশ্চিমের ভৌগলিক দূরত্ব ধরা পড়তো তাদের অর্থনীতি ও রাজনৈতিক বিভক্তিতে। শাসক শ্রণীর বেশিরভাগ যারা ভারত থেকে দেশ বদল করে গেলেন তারা পশ্চিম পাকিস্তানকে পছন্দ করলেন দেশের রাজনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে।”
এর পর Lorraine Boissoneault হিসেব দিয়ে পূর্ব আর পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্যের তীব্রতা তুলে ধরতে গিয়ে লিখেছেন- “৪৭ থেকে ৭০ পর্যন্ত পূর্বপাকিস্তান(যা পরবর্তীতে বাংলাদেশ হলো) পেতো গোটা দেশের শিল্প বিনিয়োগের শতকরা মাত্র ২৫ ভাগ এবং আমদানীর মাত্র ৩০ভাগ। অথচ দেশের রপ্তানীর ৫৯ ভাগ উৎপদান হতো এই বাংলাদেশে। পশ্চিমের পাকিস্তানী ভদ্রলোকেরা দেখলেন তাদের পূর্বপাকিস্তানী অংশ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে তাদের থেকে হীন ফলে উর্দূকে রাষ্ট্র ভাষা জারি করার উদ্যোগ নিলেন। অথচ পূর্বপাকিস্তানে এই উর্দূ শতকরা মাত্র ১০ভাগ মানুষের জানাছিল। এতে স্পষ্ট হয়ে গেল যে পূর্বপাকিস্তানের স্বার্থ তাদের কাছে গৌন বিষয়। নভেম্বর ১৯৭০ এর ভোলার ঘূর্ণীঝড় বিষয়টিকে আরো খারাপের দিকে নিয়ে গেল। মানুষ মারা গেল ৩ লাখ। যথেষ্ট সাহায্য সহায়তার সুযোগ থাকা সত্বেও পশ্চিম পাকিস্তান দায়সারা গোছের সহায়তা পাঠালো।”
“ওই সময় এ অবস্থাকে একজন ফরাসি সাংবাদিক ‘পল ড্রেফাস’ বর্ণনা করেছিলেন এই বলে যে, “বছরের পর বছর পশ্চিম পাকিস্তান অহংকারী সর্বগ্রাসী পীর-মাতব্বরের মত সব কিছু খেয়ে দেয়ে উচ্ছিষ্ট রাখতো পূর্বপাকিস্তানের জন্য।”
Lorraine Boissoneault লিখছেন-“স্বাধীনতার পর ১৯৭০ সালে দেশটি ঘোষণা দিল একটি সাধারণ নির্বাচনের। দেশের প্রধান সামরিক প্রশাসক ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খাঁ নির্বাচনী ফলাফলের চেয়ে দেশের অখন্ডতাকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে ভোটাধিকারকে সীমিত করে দিলেন। ‘মৌলিক গণতন্ত্র’ নামের অনুরূপ নীতিমালা অতীতের শাসকবর্গও ব্যবহার করেছিলেন এটাই দেখাতে যে গণতন্ত্র আছে যদিও সামরিক নিয়ন্ত্রণ চলছে।”
“’৭০ এর এই নির্বাচনে ১৩৮টি আসন ছিল পশ্চিমপাকিস্তানের আর ১৬২টি আসন ছিল পূর্বপাকিস্তানের যদিও তখন পূর্বপাকিস্তানের জনসংখ্যা পশ্চিমপাকিস্তানের চেয়ে ২কোটি বেশী ছিল। পশ্চিমপাকিস্তানের ভোট তাদের বিভিন্ন দলের মধ্যে ভাগ হয়ে গেলো কিন্তু পূর্বপাকিস্তানে অভূতপূর্বভাবে আওয়ামীলীগের বাক্সে সব ভোট এলো। বাঙ্গালী স্বায়ত্ব শাসনের ভিতে দাড়িয়ে জাতীয় নেতা শেখ মুজিবুর রহমান সেই ভোটের মোকাবেলা করেন এবং বিজয়ী হন।”
দেশের সুস্থিতি বা অটলাবস্থান যা পশ্চিমা সামরিকতন্ত্র মনে করতো, নির্বাচনের ফলাফলে তারা খুবই অসন্তুষ্ট হয়ে ইয়াহিয়া খাঁ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মুলতবি করে দিয়ে সামরিক শাসন পুনঃজারি করে দিল। পূর্বপাকিস্তানে শুরু হয়ে গেল ধর্মঘট আর মারামারি। ৭ই মার্চ ১৯৭১, ৫০ হাজার মানুষের জমায়েতে জাতির নেতা শেখমুজিবুর রহমান অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিলেন। পূবের রাজধানী ঢাকায় শুরু হল, সহিংসতা আর যুদ্ধ এড়াবার প্রাণপণ চেষ্টা। সেই ইচ্ছায় অবশেষ ১৬ই মার্চ থেকে ২৪শে মার্চ পর্যন্ত মুজিব ও ইয়াহিয়া খাঁ আলাপে গেলেন। আলাপ চললো, সকল বিষয় নিয়েই আলাপ হলো এবং অবশেষ অনুমান হলো যে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছা গেছে। কিন্তু না, ২৫শে মার্চের রাতে মুজিবকে গ্রেপ্তার করা হল আর যে ৬০ থেকে ৮০ হাজার পশ্চিমপাকিস্তানী সৈন্য বিগত কয়েকমাস ধরে পূর্বপাকিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঢুকছিল, শুরু করে দিল, যাকে তাদের ভাষায় বলা হল-“অপারেশন সার্চলাইট”, পাকিস্তানী সৈন্যদের দ্বারা বাঙ্গালীদের নিধন অভিযান।
গণনা মতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ালো ৫ লাখ থেকে ৩০ লাখ। “হেরিটেজ ফাউন্ডেশন”গত “এশিয়া ষ্টাডিজ সেন্টার”এর বয়স্ক গবেষণা কর্মি ‘লিসা কার্টিস’ এর মতে সময় যত গিয়েছে মৃত্যুর হার বাড়িয়ে নেয়ার রাজনীতিকরণ ঘটেছে।
কার্টিজ বলেন, “মৃতের সংখ্যা যা ই হয় না কেনো, এটি পরিস্কার যে বাংগালী জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দারুণ নিষ্ঠুরতা চালানো হয়েছিল।” “আমার মনে হয়, আমাদের বলতেই হয় যে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর দ্বারা যে নৃশংসতা আর নিষ্ঠুরতা সংঘটিত হয়েছিল তা সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে যা আমরা ওই প্রান্ত থেকে দেখেছি।”
সোভিয়েট সংবাদপত্র প্রাভদা’য় ’৩০ লাখ’ সংখ্যা এসেছিল যা পত্রস্ত করেছেন ‘অনুসন্ধানী’ সাংবাদিক ডেভিড বার্গমেন “নিউ ইয়র্ক টাইমন্স” এর ওপি-এড সংখ্যায়। গণহত্যার এই সংখ্যা বাংলাদেশ ও তার স্বাধীনতাকে নিয়ে সাজিয়ে কাহিনী বলার জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে, এটি সরকারকে তার বিচারীয় ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ দেয়।
নয় মাস গণহত্যার মাঝামাঝি সময়ে আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) ২ লাখ হত্যার একটি রক্ষণশীল হিসেব দিয়েছিল। বলেছিল, উভয় পক্ষেই হিংস্রতা ছিল, কারণ কতক বাংগালী যুদ্ধ করছিল, যাদের লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা আর অন্য এক পক্ষ যাদের লক্ষ্য পাকিস্তানের সাথে ঐক্য। কিন্তু ইহা স্পষ্টতঃই বুঝা গেছে যে পাকবাহিনী নৃশংস আক্রমণগুলো চালিয়েছে আমেরিকার দেয়া অস্ত্র ব্যবহার করে। কারণ তারা আমেরিকার মিত্রশক্তি। ১৯৭১ এ মে মাসে ভারতে আশ্রয় চাইলো ১.৫ মিলিয়ন শ্মরণার্থী; আবার ১৯৭১ নভেম্বরে গিয়েই এই সংখ্যা দাঁড়ালো ১০ মিলিয়ন। যখন যুদ্ধ শেষে ধর্ষিতা নারীদের “লেইট টার্ম” গর্ভপাত করানোতে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক অষ্ট্রেলিয়ার ডাক্তার জিওফ্রে ডেভিচ’কে ঢাকায় আনা হলো, ধর্ষিতা বাঙ্গালী নারীর সংখ্যা ২ লাখ থেকে ৪ লাখ দেখে তার বিশ্বাস হয়নি। তার বিশ্বাস এ পরিমান অত্যন্ত অল্প।
ওই সময় পাকিস্তান-ভারতের টানপোড়েন ধীরে ধীরে বাড়ছিল। উভয় পক্ষই নিজ নিজ সীমান্তে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করছিল সম্ভাব্য বিরোধ মোকাবেলায়। বাংলাদেশে এই ধ্বংসযজ্ঞ আকস্মিকভাবে সমাপ্তিতে পৌঁছে যখন ডিসেম্বরের প্রথম দিকে পশ্চিম পাকিস্তান ভারতের উপর যুদ্ধ ঘোষণা করে বসে। ফলে, ১৬ ডিসেম্বর ভারত, পাকিস্তানকে শর্তহীনভাবে আত্মসমর্পনে বাধ্য করে। ফলশ্রুতিতে ৯০ হাজার পাকিস্তানী সৈন্য যুদ্ধবন্ধী হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে কিন্তু খুবই উচ্চমূল্যে।
“অপারেশন সার্চলাইট”এর মাধ্যমে বাংলাদেশে যে নির্যাতন চলছে সারা বিশ্ব ততদিনে জেনে গেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সেই ৩১শে মার্চ তারিখেই এই আক্রমণকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিধিত করেন। ঢাকার আমেরিকান কনসাল জেনারেল ‘ব্লাড’ ও ভারতে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ‘কেনেথ কিটিং’ প্রেসিডেন্ড নিক্সন সমীপে আর্জি করেন পাকিস্তানকে সহায়তা বন্ধ করে দিতে। উভয় কূটনীতিককেই অবহেলা করা হয় এবং ‘ব্লাড’কে ডেকে ওয়াশিংটনে ফেরৎ নেয়া হয়।
গণহত্যার প্রশ্রয় বৃহৎ শক্তির “শীতল যুদ্ধ”এ উত্তেজনার কারণ হয়ে উঠে। নিক্সন আর তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার পাকিস্তানকে এই অঞ্চলে তাদের ঘনিষ্ট মিত্র হিসাবে দেখে আসছেন। আমেরিকা পাকিস্তানকে অস্ত্র দিয়ে আসছে এবং চীনাদের সাথে একটি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে পাকিস্তানকে জানলা হিসেবে ব্যবহার করছে।
সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে ভারতের ঘনিষ্টতা আমেরিকার কাছে আরেকটি জঠিল বিষয় হয়ে উঠেছিল। ১৯৭১এর আগষ্টে উভয় দেশ “শান্তি, বন্ধুত্ব ও সহযোগীতা চুক্তি” স্বাক্ষর করে কিন্তু এ অবস্থা ইংগিত দিচ্ছিল ভারত সম্ভবতঃ নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকার নীতিতে অবিচল থাকবে না, সে পদ ত্যাগ করবে। নিক্সন ও কিসিঞ্জার উভয়েই ভীত হয়ে উঠেন ভারত-রুশিয়া সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনায়। বাংলাদেশে পাকিস্তানের সামরিক অভিযান কিংবা আমেরিকান যারা এই সামরিক অভিযান দেখে ও পড়ে কি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে তা উপেক্ষা করেন।
“বায়াফ্রা, নাইজেরিয়ার অপর একটি গণহত্যা কান্ড, আলোড়িত করে তোলে কিছু কেথলিক ধর্মাবলম্বীকে,” নিক্সনের কথা লিপিবদ্ধ করা হল, তিনি বলেছিলেন-“কিন্তু তুমি জানো, আমার মনে হয় বায়াফ্রা ঘটনা পাকিস্তানের ঘটনার চেয়ে মানুষকে আলোড়িত করবে বেশী, কারণ পাকিস্তান, একগুচ্ছ বাদামী গডড্যাম মুসলিম।”
একজন রাজনৈতিক বিজ্ঞানী হিসেবে গেরি জে, বাস লিখলেন, “সর্বোপরি, বিচারের উপর আন্তর্জাতিক নিরাপত্ত্বার মূখ্যতা দেখালো বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা।” তাদের স্বাধীনতা অর্জন ছাড়াও বাংলাদেশকে সংগ্রাম করতে হয়েছে তাদের রক্তাক্ত ইতিহাসকে ডিঙ্গিয়ে আসতে। যদিও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালত স্থাপন করেছেন, প্রক্রিয়া বিশেষতঃ তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে, বলেছেন হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের লিসা কারটেজ।
পরিষ্কার বুঝার জন্য আরও বলা যায় কিভাবে একটি দেশ সংগ্রাম করলো তার অতীত বুঝে নিতে, কার্তিস বলেন বাংলাদেশের গণহত্যা বিষয়ে আরও গবেষণা করা উচিৎ এটি বুঝতে যে বিভিন্ন দেশে সংগঠিত নিষ্ঠুরতার সাথে কি নমুনায় আমেরিকা কাজ করে।
“আমেরিকার মূল্যবোধ থেকে আমরা কিভাবে বিষয়টিকে দেখবো আবার জাতীয় স্বার্থের দৃষ্টিকোন থেকেও?” কার্টিজ বলেন। “এবং কোথায় ওই মূল্যবোধ আর জাতীয় স্বার্থ একহয়, তারই একটি শক্তিশালী জবাবের জন্য?”
ওই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে প্রায়ই মনে হয়, কেবল পেছন ফিরে দেখাতেই সব পরিস্কার হয়, যখন আর কোন কাজ করা হবে না।
By Lorraine Boissoneault, smithsonian.com, December 16, 2016(অনুবাদ-হারুনূর রশীদ)