আব্দুল ওয়াদুদ।। সংসদের হুইপ মোঃ শাহাব উদ্দীন আহমদ বলেছেন, দেশ এখন অর্থনৈতিক দিগ দিয়ে অনেক এগিয়ে গেছে। এ দেশে আগে ৪৪ শতাংশ গরীব ছিল। সেটা শেখ হাসিনার সরকার কমিয়ে এনেছেন। এখন ২২ শতাংশ মানুষ গরীব রয়েছে। মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ আয়োজিত উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বিষয়ক অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। হুইপ বলেন, এদেশে মাথাপিছু আয় ৫শ ডলার থেকে ১৬ ডলারে গিয়ে পৌছেছে। পাশাপাশি মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। এদেশের মানুষের গড় আয়ু এখন ৭২ বছর। পদ্মা সেতুর দ্বিতীয় স্পেন বসানো হয়েছে উল্যেখ করে তিনি বলেন,পদ্মা সেতুর উন্নতি দেখে বিদেশীরা আজ অবাক হয়েছে। প্রধান মন্ত্রী প্রভাবশালী নেতার মধ্যে একজন উল্যেখ করে তিনি বলেন, তার নেতৃত্বে এ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়া হবে এটা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান’র সভাপতিত্বে ও জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকতা জসিম উদ্দিন মাসুদ’র সঞ্চালনায় রোববার পৌর জনমিলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় এই অনুষ্টান। অনুষ্টানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংসদ সায়রা মহসিন বলেন, এই অনুষ্ঠানে সেলাই মেশিন,সার্টিফিকেটসহ যেসকল উপহার দেয়া হলো-এটা শুধু আ’লীগ সরকারের মাধ্যমেই সম্ভব হয়। কাজেই এই উন্নয়নের ধারাবাহিতা ধরে রাখতে মৌলভীবাজারের নেতা-কর্মীদের আরো সুসংঘটিত হতে হবে। দেশটি মধ্যম আয়ের দেশে এগিয়ে যাচ্ছে উল্যেখ করে তিনি বলেন,২০২১ সালে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হবে। আর সেটা আমরা প্রায় করতে পেরেছি।
জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলাম বলেন, বিক্ষোকমুক্ত মৌলভীবাজার ও বিক্ষোকমুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই আমরা। আমাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এখন থেকে ত্রিনমূল পর্যায়ে গিয়ে ওয়ার্ড পর্যন্ত যেন সরকারের এই উন্নয়ন দেখানো হয়। জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ্জালাল বলেন,২০০৮ সাল থেকে এখন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের প্রায় চারগুন বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, দক্ষতা ও সচ্ছতার মাধ্যমে এই বাজেট বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। এতে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ স্বচ্ছতার সাথে এই কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। তিনি বলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান’র দেশ প্রেম নিয়ে কোন সংশয় থাকার কথা নয়। এ জন্য দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন। এই কাজের মাধ্যমে আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হবো। অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, জেলা আ’লীগ সভাপতি নেছার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ’র চেয়ারম্যান কামরুল ইসলামসহ অনেকেই। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা, কর্মজিবীদের সেলাই মেশিন, সার্টিফিকেটসহ নানা উপকরণ প্রদান করা হয়।