আব্দুল ওয়াদুদ।। ১৮ বছর বয়েসী এক অচেনা কুমারীর গাছে ঝুলে থাকা লাশ পেয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে বিধবা নারীর সম্ভম নষ্টে উদ্যত বদমাশকূল। অন্ধকার রাতে এক বিধবার সম্ভ্রম হানির বেপরোয়া প্রচেষ্টা। হারিয়ে যাওয়া সম্মান কি আর ফিরে পাবেন সে বিধবা? আসামী বিজয় বিশ্বাস ও সালমান শাহ এখনও অধরা। এমন অনেক প্রশ্নবিদ্ধ অমানুষিক ও নীতি-নৈতিকতা বিরুধী দু’টি ঘটনা সংগঠিত হয়েছে মধ্যযুগের রাজ-রাজরাদের নগর সভ্যতা গড়ে উঠার উপজেলা রাজনগরে।
এখানে এই রাজনগরে পঞ্চাশবছর বয়সী এক বিধবার সম্ভ্রম ও শ্লীলতা হানির ১০দিন অতিবাহিত হলেও পালিয়ে থাকা আসামীদের আটক করা সম্ভব হয়ে উঠেনি এখনো। ঘটনাটির পর ওই নারী মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে শারীরিক পরীক্ষার-নিরীক্ষা ও চিকিৎসাসেবা নিয়ে নিজ গৃহে উঠেছেন। প্রয়াত স্বামীর বসত ভিটায় নিজের ঠাই নিলেও লোক-লজ্জার ভয়ে আট-দশ নারীর মত সাধারণ নিয়মে তিনি চিরচেনা ওই গ্রামটিতে চলতে পারেন না। প্রায় বৃদ্ধ বয়সে এসে এরকম দুঃখময় শোকাবহ দিনপাত তার পাড় করতে হবে এমনটা ভাবেননি কখনো।
বিধবা ওই মহিলাকে নিয়ে সমাজের সবচেয়ে লজ্জাজনক ঘটনাটি ঘটেছিল গত বৃহস্পতিবার, ৪ঠা জুন, উল্লিখিত উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের পূর্ব সুরীখাল(আমনপুর) গ্রামে। ওই ভয়াল রাতে নিজ গৃহ থেকে প্রাকৃতিক কাজে বাহিরে বের হলে আগে থেকে উৎ পেতে থাকা ওই দুই বখাটেসহ আরেক যুবক সামীলে তার মুখ চেপে ধরে পাশের কচুবনে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। ধস্তাধস্তি শেষে তিনি তাদের চিনতে পেরে নাম ধরে ধরে চিৎকার করলে, দূর্বৃত্তরা তাকে প্রাণে মারার চেষ্টা চালায়। তাৎক্ষনিক পাশের কুশিয়ারা নদীতে থাকা জেলেরা এসময় চিৎকারের আওয়াজ শুনে এগিয়ে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। ওই ভয়াল রাতের লোমহর্ষক ঘটনার পর থেকেই মামলার আসামী পূর্ব সুরীখাল(আমনপুর) গ্রামের সুধীর রাম বিশ্বাসের ছেলে বিজয় বিশ্বাস(২৪) ও একই গ্রামের মনসুর মিয়ার ছেলে সালমান শাহ(২২) পলাতক রয়েছে। পরদিন ওই বিধবা বাদী হয়ে রাজনগর থানায় ওই দুই যুবকের নাম উল্যেখ করে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাটির বিষয়ে রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসেম জানান, ওই ঘটনায় মহিলা বাদী হয়ে থানায়, তার সাথে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা হয়েছে, এমন অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই বিনয় ভূষন চক্রবর্তী জানান, ওই মামলার আসামীগণ পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে এসআই বিনয় বলেন, ডাক্তারী প্রতিবেদনে জানা যাবে তার শ্লীলতাহানীর মাত্রা কি ছিল। তবে এখনও আমরা ডাক্তারী ওই প্রতিবেদনটি পাইনি। এলাকার স্থানীয়রা পলাতক বিজয় ও সালমানের বিরুদ্ধে অনৈতিকতার অনেক অভিযোগ তুলেছেন। এর আগেও নাকি এরা এরকম বহু অনৈতিককাজের চেষ্টা করেছে। তাদের এসবকাজে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।
|