জিডি সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারের মনু নদীর ভাঙন রক্ষা প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে একাধিক চক্র। ১৭ আগস্ট দুপুরে রাজনগরের একটি ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সাম্মু দৈনিক যুগান্তরের মৌলভীবাজার প্রতিনিধি হোসাইন আহমদের সাথে দেখা করার জন্য দূরালাপনীতে কথা বলেন। সাংবাদিক হোসাইন আহমদ স্থানীয় মামার বাড়ি রেস্টুরেন্টে দেখা করার জন্য বলেন। আব্দুল্লাহ আল সাম্মু তার সাথে করে মনু নদী ভাঙন রক্ষা প্রকল্পের নিয়োগকৃত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রিমি নির্মান সংস্থা(জেভি) এর ঠিকাদার লিমনকে সাথে নিয়ে আসেন।
রেস্টুরেন্টের কেবিনে বসা অবস্থায় হোসাইন আহমদ লক্ষ্য করেন বাহির থেকে একজন মুঠোফোন দিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারন করছে। তারপর তাকে ডেকে মোবাইল চেক করে দেখা যায়, গোপনে সে মোবাইল দিয়ে ছবি ধারণ করেছে। পরে মোবাইলটি উদ্ধার করে মৌলভীবাজার মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি দায়ের করেন সাংবাদিক হোসাইন আহমদ। বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে মোবাইল সেটটি রাখা হয়েছে।
প্রতিনিধি হোসাইন আহমদ জানান, হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মৌলভীবাজারের মনু নদীর ভাঙন হতে কুলাউড়া, রাজনগর ও সদর উপজেলা রক্ষা প্রকল্পের অনিয়ন ও দুর্নীতি নিয়ে দৈনিক যুগান্তরে তিনি দুইটি প্রতিবেদন করেন। যার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে তার সাথে দেখা করে সেই ছবি তারা হয়রানি করার জন্য ব্যবহার করবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। সাংবাদিক হোসাইন আহমদ আরো জানান- “বর্তমানে আমি থানায় জিডি করেছি ও বেআইনি কাজে ব্যবহৃত মোবাইল পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।”
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি ইয়াসিনুল হক বলেন, সাংবাদিক হোসাইন আহমদ থানায় জিডি করেছেন। আমরা অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
|