1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
দখলদার আমলের বস্তাপঁচা কলা কৌশল নয় মনের দিক থেকে স্বাধীন হতে হবে - মুক্তকথা
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৫ অপরাহ্ন

দখলদার আমলের বস্তাপঁচা কলা কৌশল নয় মনের দিক থেকে স্বাধীন হতে হবে

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০১৯
  • ২৯৩ পড়া হয়েছে

মুক্তকথা নিবন্ধ।। গাড়ি আটক করে পুলিশের ঘুষ নেয়ার ভিডিও ধারণের সময় একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের রিপোর্টার ও ক্যামেরাম্যানকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ২৪শে জুন(২০১৯ইং) বিকেলে রংপুরের গঙ্গাচড়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ মোড়ে।
প্রকাশ্য দিবালোকে সদর রাস্তায় গাড়ী আটকিয়ে টাকা আদায়ের সময় ওই টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক ভিডিও ধারন করতে গেলে এ মারধরের ঘটনাটি ঘটে। 
দখলদার পাকিস্তান আমলে এ নমুনার ঘটনা ছিল বলতে গেলে নিত্ত্বনৈমিত্তিক। শুধু নিত্ত্বনৈমিত্তিক বললে ভুল হবে। সে সময় পুলিশ রীতিমত টহল দিয়ে চাঁদা আদায় করতো। দেশের বিভিন্ন শহরের প্রবেশ পথে পুলিশের চাঁদা আদায়ের লোকজন মোতায়েন থাকতো। তাদের কাছেই একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকতো সাধারণ পোষাকে পুলিশের লোক। তারা দেখিয়ে দিতো কোন গাড়ী থেকে টাকা আদায় করতে হবে। সেই সময়গুলোতে এ ধরনের অনৈতিক ঘটনায় সাংবাদিকদের খুব বেশী ঘাটাতে চাইতো না পুলিশ। দেশের বাস, ট্রাক চালক ও গাড়ী ব্যবসায়ীরা এ ধরনের হেনস্তার শিকার হতেন প্রায়শঃই। দেশের বড় বড় শহরগুলোর গাড়ী ব্যবসায়ীদের রীতিমত মাসোহারার মত দিতে হতো পুলিশকে। 
প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোন না কোন অঞ্চলে পুলিশের এ নমুনার অনৈতিক বাহাদুরীর খবর পত্রিকায় পাওয়া যতো। তবে সেটি ছিল দখলদারী আমল। মুসলিম লীগের দখলদার পুলিশ তাদের প্রভুদের মাসিক মাসোহারা আদায় করতো এভাবেই। এ অপকর্মটি তারা শিখেছিল দখলদার ভিনদেশী ইংরেজ শাসকদের অনৈতিক আসকারায়। চালিয়ে গেছে পুরো পাকিস্তানী আমল এবং স্বাধীনতা পরবর্তী দুই-আড়াই দশক। 
ইংরেজরা মোগলদের মত এদেশে বসত স্থাপন করেনি। তারা এদেশ থেকে শুধুই নিয়ে যেতে এসেছিল। নিয়েছেও। তাদের শাসন ও শোষণ করে নেয়ার সেসব বেনিয়া প্রক্রিয়ার মাঝে একটি ছিল পুলিশী অত্যাচার।


উপরে আইজিপি’র কথা ও নিচে ‘বেসরকারি টিভি চ্যানেলের রিপোর্টার ও ক্যামেরাম্যানকে মারধরের ঘটনা’

রংপুরের গঙ্গাছড়ার ঘটনা, অন্ধকার লোমহর্ষক দমন-পীড়নের সেই অতীতকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। কেনো এমন ঘটবে। এখন আমরা একটি সত্যিকার স্বাধীন দেশের স্বাধীন মানুষ। আমরা সকলেই দেশের এক একজন মালিক সত্যিকার অর্থে। আমাদের এ স্বাধীনতা কোন আলোচনার টেবিলে বসে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দয়ায় আসেনি। এদেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ সম্মিলিতভাবে পুরোদস্তুর যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছে। 
স্বাধীন দেশে আমলা-গোমস্তা বলতে কিছু থাকেনা। যারা থাকেন তারা সকলেই বিভিন্ন স্তরের বেতনভোগী সেবক দেশের। নিজেদের দেশ সকলে মিলে আমরা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য যে যা পারি সে অনুসারে দায়ীত্ব নিয়েছি। একাজে কেউই আমরা উপরওয়ালা নই। আমরা সকলেই একাধারে দেশের নাগরীক ও সেবকমাত্র। স্বাধীন দেশের পুলিশের আচরণ এমন হবে কেনো? এটা অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
স্বাধীন দেশের পুলিশের আচরণ কি হবে সে নিয়ে কাউকে শিখিয়ে শুনিয়ে দেয়ার প্রয়োজনই পড়েনা। প্রায় প্রতিদিনই আমাদের আমলা-রাজনীতিকদের কেউ না কেউ দুনিয়ার কোন না কোন দেশে ঘুরতে যাচ্ছেন। পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর বহু লোকজন বিদেশে শান্তিরক্ষায় কাজ করছেন জাতি সংঘের হয়ে। সুতরাং কারো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দুনিয়া দেখিয়ে দেয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করিনা। 
রংপুরের এ ঘটনার পর পরই আমরা দেখতে পাই দেশের পুলিশের প্রধান বলেছেন-‘পুলিশ যদি সাংবাদিকদের মতো দায়িত্বশীল হতো অপরাধ দমনে আরো সফলতা আসতো। -আইজিপি’। তার এ কথায় আমরা আশাবাদী হতে চাই। এবং আশার বিষয় যে, এ ঘটনার পরপরই গঙ্গাচড়া মডেল থানার এসআই আব্দুল করিমসহ ৩ কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে তলব করা হয়েছে।
শুধু তলবই নয়, এমন ঘটনা স্বাধীনতার মৌলনীতির প্রত্যক্ষ বিরুদ্ধাচরণ। বিভাগীয় হোক আর আদলতেই হোক এ অপরাধের বিচার হতে হবে। হতে হবে কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন অপরাধ সংগঠনে সাহসী না হয়।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT