আব্দুল ওয়াদুদ, মৌলভীবাজার থেকে।। দ্বন্দ্ব, দলাদলি ও পূর্ব শত্রুতার জেরে খুন হয় মৌলভীবাজারে ছাত্রলীগের দুই কর্মী সাবাব ও মাহি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত তিন জনের কাছ থেকে অনেক তথ্য-উপাত্ত পেয়েছে পুলিশ। এর আগে আদালতের কাছে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে গ্রেফতারকৃত তিন আসামী রুবেল, কনক দাশ ও আল জামিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বহুল আলোচিত ছাত্রলীগের এই দুই কর্মী খুনের ঘটনায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা করেন নিহত ছাত্রলীগ কর্মী সাবাবের মা সেলিনা বেগম চৌধুরী। এ ঘটনায় পৃথক দুইবারের অভিযানে ৩জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাত সোয়া ৮টায় আটককৃত দুজনসহ মোট ১২ জনের নাম উল্যেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সেলিনা।
আটককৃতরা হলো-কুলাউড়া উপজেলার পাবই গ্রামের কৌশিক দাস-এর পুত্র কনক দাশ ও সদর উপজেলার ফতেপুর এলাকার আনছার মিয়ার পুত্র আল জামিল ও বেরিরচর এলাকার ফখরুল ইসলামের ছেলে রুবেল মিয়া ।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলো- শহরের বড়হাট এলাকার মৃত আকিকুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে আনিসুল ইসলাম তুষার (২৭), পৌর এলাকার শমসের নগর রোডের বাদশা মিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান (২০), পশ্চিম ধরকাপন এলাকার সৈয়দ বুলু মিয়ার ছেলে সৈয়দ সৌমিক (২২), রাজনগর উপজেলার চকিরাই গ্রামের সিরাজুল ইসলাম মুক্তির ছেলে আশফাকুল ইসলাম মাহদী (২০), সদর উপজেলার পাগুলিয়া এলাকার আব্দুল মুকিতের ছেলে সনি হায়দার (২০), শহরের মাতার কাপন এলাকার সৈয়দ আবু জাফরের ছেলে সৈয়দ প্রতীক হাসান (২০), সদর উপজেলার মোকাম বাজার এলাকার হৃদয় আহমদ (২১), রাজনগরের মহলাল এলাকার আয়ুব হাসানের ছেলে তামিম হাসান (২০) ও শহরের কোর্ট এলাকার ফাহিম মুনতাসির (২০)।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল আহম্মদ-এর সাথে হত্যা মামলার সার্বিক বিষয় নিয়ে মুঠোফোনে আলাপচারিতা হয় সোমবার সন্ধ্যায়। তিনি জানান, গত রোববার আদালতে এদের পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে কিসব তথ্য-উপাত্ত পেলেন জানতে চাইলে ওসি এ প্রতিবেদককে বলেন, “আসলে অনেক কিছু পাইছি তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাচ্ছেনা”।