লণ্ডন।। ফাঁকি দিয়ে মেয়েকে দেশে নিয়ে জোর করে বিয়ে দেবার অভিযোগে এক বাংলাদেশী মা-বাবাকে জেল দিয়েছে বৃটেনের একটি আদলত। ওই বাংলাদেশী পরিবার বৃটেনে বসবাস করেন। মেয়ে বিয়েতে রাজী না হলে তাকে হত্যারও হুমকি দেন ওই মা-বাবা। বিবিসি, গার্ডিয়ানসহ বৃটেনের সকল পত্র-পত্রিকা আজ এ খবর দিয়েছে।
গত সোমবার লিডস ক্রাউন কোর্ট এ মামলার রায় দেয়। রায়ে পিতাকে সাড়ে চার বছরের জেল এবং মাকে দেয়া হয়েছে সাড়ে তিন বছরের জেল। আদালত শুনানিতে বলেছে- যে যুবতীকে নিয়ে এই ঘটনা তিনি লিসডে বসবাস করেন। তার বয়স এখন ২০ বছর। এতোদিন তিনি আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছিলেন। পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন পরিবার ও সম্প্রদায়ের কাছ থেকে। পিতামাতাকে জেল দেয়ার খবরে ওই যুবতী তাদেরকে দানব হিসেবে অভিহিত বলেছেন, ওই দানবদের জেলে যাওয়ার খবরে অন্তর থেকে আমি মুক্ত অনুভব করছি। আমি অন্য মেয়েদের বলতে চাই জোর করে বিয়ে দেয়া একটি অন্যায়। আমি আমার ভাইবোনদেরকে এবং যারা জীবনকে এমন অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন তাদেরকে এর মাধ্যমে একটি বার্তা দিতে পেরেছি। আমি বড়দের বলতে চাই এভাবে বিয়ে দেয়া বেআইনি। আপনারা পরিবারকে এভাবে ব্যবহার করতে পারেন না।
তিনি আরও বলেছেন, আমার কাছে ভাল লাগছে এ জন্য যে, যা সঠিক তার পক্ষে আমি থাকতে পেরেছি। আমি জানতে পেরেছি আমি আমার পিতামাতার অন্যায়ের শিকার হইনি। এখন আমি মুক্ত।
অভিযোগ থেকে জানা যায় বাংলাদেশী ওই দম্পতি তাদের ১৮ বছর বয়সী মেয়েকে বাংলাদেশে গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে জোর করে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। সেখান থেকে অভাবনীয়ভাবে সশস্ত্র পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে বৃটিশ হাই কমিশন। সংবাদপত্রের কোন খবরেই ওই যুবতী ও তার পিতামাতার নাম প্রকাশ করা হয় নি।
ডাফিড ইনক কিউসি অবশ্য মা-বাবার পক্ষ নিয়ে আদালতে বলেছিলেন- এ নমুনার বিয়ে কোনভাবেই মেয়ের প্রতি পিতা-মাতার কোনরূপ ঘৃণা, লোভ-লালসা, হিংসা কিংবা কোন কুসংস্কার থেকে নয়। এ ধরনের বিষয় সংস্কার, সমাজের গভীরে প্রোথিত।