পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় বাসের ধাক্কায় ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রী নিহত হয়েছেন। তার নাম সাদিয়া হাসান। তিনি ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা মা শাহিন সুলতানাও আহত হন।
নিহত সাদিয়া রাজশাহীর হরগ্রাম বাজারের রাজপাড়া এলাকার হাসানুজ্জামানের মেয়ে। এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় সাদিয়া নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে পুরান ঢাকার রায় সাহেব বাজার মোড় অবরোধ করে প্রতিবাদ করেন শিক্ষার্থীরা। বেলা ১টার দিকে তারা এ সড়ক অবরোধ শুরু করে দেড়টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়ী বাস চালককে গ্রেফতার করা না হলে আবার সড়ক অবরোধ করা হবে বলে শিক্ষার্থীরা আল্টিমেটাম দেয়। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় সাদিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে অবরোধের ফলে ওই সড়কের সঙ্গে সংযোগ সড়ক গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, সদরঘাট, বাবুবাজার যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত সড়কগুলোতে যানজট লেগে থাকে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘাতক বাসের চালককে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
জানা যায়, সাদিয়া ও তার মা শাহিন সুলতানা গতকাল সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সিএনজি অটোরিকশায় চেপে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের উদ্দেশে রওনা দেন। তারা বংশাল থানাধীন হোটেল আল রাজ্জাকের সামনে পৌঁছলে একটি বাস তাদের বহনকারী অটোরিকশাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে দুজনই গুরুতর আহত হন। আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা সাদিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। সাদিয়ার মা শাহিন সুলতানা বর্তমানে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। শাহিনা সুলতানা মাথায় আঘাত পেলেও তিনি বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত আছেন। [ইত্তেফাক থেকে]