মিশরকে নিয়ে আবারো নতুন খবর। খবরটি তৈরী হলো যখন মিশরের সরকার একদল প্রত্নতাত্ত্বিক পাঠালেন মরুভূমির একটি আদেখা প্রত্নসম্পদ মাটি খুঁড়ে দেখার জন্য। নতুন এ খবরটি তৈরী হয় দু’হাজার একুশ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। প্রকাশ করে ‘হাউস ডাইভার ওয়ার্লড ওয়াইড’। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মাটি খুঁড়ার কাজে নিয়োজিতরা মাটি কেটে প্রত্নসম্পদ দেখতে গিয়ে অবাক বিস্ময়ে অভিভুত হয়ে গেলেন। ইতিপূর্বে তারা মিশরের মরুভূমিতে শায়িত এমন প্রত্ননিদর্শন আর দেখেনি। তাদের ধারণায়, এ নিদর্শন মিশরকে নিয়ে সারা বিশ্বের যে ইতিহাস ইতিপূর্বে তৈরী হয়েছে তা পুরোপুরি পাল্টে যাবে এমন এক নিদর্শন তারা সেখানে আবিষ্কার করেছেন। প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে প্রাচীন মিশর নিয়ে অদ্যাবদি মানুষের মাঝে যে ধারণা জন্ম নিয়েছে তা পুরোপুরি বদলে যাবে। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮শ শতাব্দীর প্রথম দিক থেকেই প্রত্নতত্ত্ববিদ ও মিশর বিশেষজ্ঞগনের প্রাচীন মিশর নিয়ে গবেষণার অন্ত নেই। হাজার হাজার বছর ধরে মরুভূমির নিচে পড়ে থাকা প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করার জন্য তারা অন্ত:প্রান। এসকল ধ্বংসাবশেষে লুকিয়ে আছে বিশ্বের বিস্ময় মানুষের অজানা বহু মণিমুক্তা। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
গবেষকদের সকলেই ভাগ্যবান নন। সবে সবকিছু পায় না। আবার মাঝে মধ্যে দু’একজন গবেষকের কপাল খুলে যায় তাদের প্রাপ্তির কারণে। প্রাচীন মানুষ আর তাদের কৃতকর্ম নিয়ে মানুষের জানার অন্ত নেই। সূক্ষ্ম গুপ্তধন খুঁজা বিশেষ করে মিশরের মরুভূমিতে একটি শতবর্ষ পুরানো ঘটনা। প্রাচীন মিশরের মরুভূমিতে লুকিয়ে আছে হাজার হাজার বছরের পুরানো গুপ্তধন। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মিশরের প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রণালয় ইদানিং নতুন করে প্রত্নসম্পদ খুঁজে দেখা, নব নব আবিষ্কার ও দস্যু তস্করদের দ্বারা প্রাচীন পুরাতত্ত্ব বিনষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষাকল্পে নতুন খুঁজাখুঁজির প্রকল্প হাতে নেয়। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ সালের মিশরীয় বিপ্লবের সময় বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের দেশ ‘মিশরের পিরামিড’ ছিল সম্পূর্ণ অরক্ষিত। দেশী-বিদেশী তস্করেরা এ সুযোগকে খুব কাজে লাগায়। এসকল লোটপাটকারী দল ছোট ছোট বাচ্চাদের চুরির কাজে ব্যবহার করে। অনেক বাচ্চা এসব চুরি করতে গিয়ে মারাও যায়। চোরদের কাছে জীবনের চেয়ে প্রত্নতত্ত্বের দাম অনেক বেশী। ফলে ওই সময় লু্ণ্ঠিত হয় বহু মহামূল্যবান প্রত্নসম্পদ। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
৪,৪০০ বছরের পুরানো গুরুস্থান বা কবরস্থান নতুন করে আবিষ্কার করেছে মিশর সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। পুরানো এই কবরস্থানটি অতি প্রাচীন সে সময়ের ‘ওয়াতনি’ নামক একজন ধর্মযাজকের সমাধিস্থান। তিনি মিশরের ৫ম রাজবংশের ‘নেফেরিরকেয়ার কাকই’ নামের রাজার ধর্মযাজক ছিলেন। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
নতুন প্রাপ্ত এ সমাধি সৌধটির দৈর্ঘ্য ৩৩ফুট ৯ফুট প্রস্ত এবং ১০ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট। দেয়ালে ধর্মযাজক ‘ওয়াতনি’র মূর্তি, আঁকা দেয়াল ছবি সহ বহু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত ‘মমি’টি একজন ছেলে বয়সী মানুষের। ওয়াতনিকে তার মমতাময়ী মায়ের পাশেই শায়িত করে রাখা আছে। তার মায়ের নামেরও উল্লেখ পাওয়া গেছে। তার নাম ছিল ‘মেরিত মিন’। |