1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আবু রায়াহ সিরিয়ায় যুদ্ধ করে ফিরেছেন বৃটেনে - মুক্তকথা
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আবু রায়াহ সিরিয়ায় যুদ্ধ করে ফিরেছেন বৃটেনে

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০১৭
  • ৪৫৯ পড়া হয়েছে

এখন তিনি রেস্তোরাঁ খাবারের ‘ডেলিভারীম্যান’

মুক্তকথা, লন্ডন: আবু রায়াহ, বাংলায় তার নামের অর্থ দাড়ায় ‘রায়ার বাবা’ আর এভাবেই আশ-পাশের মানুষের কাছে তার পরিচিতি ছিল। কট্টর মুসলমান। আর তাই মুসলমান ভাইদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে সিরিয়া গিয়েছিলেন। সে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের কথা। ৩৪ বছর বয়সের এই নওজোয়ান বাংলাদেশী মুসলমান, বৃটেন থেকে তুর্কিস্থান হয়ে বেশ কষ্ট স্বীকার করেই গিয়েছিলেন সিরিয়ায়। এই ‘রায়ার বাবা’ কথার আরবী অনুবাদ হয় ‘আবু রায়াহ’।

রায়ার বাবা, আবু রায়াহ

আরেকজন আনজেম চৌধুরী। বুঝে কি নাবুঝে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষে মানুষে ঘৃণা প্রচারই ছিল তার কাজ। এমন ঘৃণ্য কাজের মধ্য দিয়েই অবোধ নিরীহ সাধারণ মানুষের মাঝে তিনি বেশ আসর জমিয়েছিলেন। সাধারণ মানুষের কাছে তিনি হয়ে উঠেছিলেন মহাজ্ঞানী ইসলামী চিন্তাবিদ! শুনা গিয়েছিল এই আনজেম চৌধুরীর ডান হাত ছিলেন রায়ার বাবা বা ওই ‘আবু রায়াহ’। ঘৃণা প্রণোদিত বহু প্রতিবাদ সভা ও মিছিলে আঞ্জুম চৌধুরী আগে আগেই থাকতেন। আর বহু ছবিতে তার পাশেই দেখা যেতো রায়ার বাবা নামের ওই আবু রায়াহ’কে।
আল মোহাজেরিন। বৃটেনে নিষিদ্ধ এক সন্ত্রাসী দল-এর নাম। আবু রায়াহ ওই সংগঠনের সক্রিয় কর্মি ছিলেন। বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয় বহু সন্ত্রাসী কাজও করেছিলেন। এসব সন্ত্রাসী কাজের পরও ওই সময় কিভাবে যে তিনি এনএইচএস এর কাজে নিয়োজিত ছিলেন সিরিয়া পাড়ি দেয়ার আগ পর্যন্ত, ডেইলি মেইল এমন প্রশ্ন তুলেছে। অবশ্য তা বুঝতে একটু গোলমেলেই লাগে! 
খুবই চমক লাগার বিষয় যে বৃটেনে বহু সন্ত্রাসী কাজে সরাসরি জড়িত ছিলেন, শুধু কি তাই, প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী যুদ্ধে যোগ দিতে সিরিয়া চলে গেলেন নিরোদ্বেগে আর নিরাপদে। আবার এতো যুদ্ধ যুদ্ধ অবস্থার মধ্যে সারা মধ্যপ্রাচ্য ঘুরে অক্ষত অবস্থায় নিরাপদে বৃটেনে ফিরেও আসলেন! এও কি কম কথা!তিনি বুলগেরিয়া হয়ে ইউরোপে আসার পথে সন্ত্রাসীকাজের সাথে পূর্বসংযুক্তির সন্দেহে আটক করে বৃটেনে পাঠানো হয়। এর পরও আরো দু’বার তিনি প্রাগ ও ওয়ারশো ঘুরে আসেন।
যাবার সময় হয়তো তেমন কোন সমস্যা হয়নি, পারিবারিক ছুটি কাটানোর ছদ্মনামে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফেরৎ আসলেন যুদ্ধ ফেলে নির্বিবাধে নিরুপদ্রবে, এতো চাট্টিখানি কথা নয়। খুবই ভাববার বিষয়! মধ্যপ্রাচ্যে চলমান যুদ্ধে শরিক হয়ে, পরে একেবারে নিরঙ্কুশ নিরাপদে ফিরে আসলেন। আনুমানিক যে ৪শত বৃটিশ নাগরীক ফিরে এসেছেন আবু রায়াহ বা রায়ার বাবা তাদেরই একজন।
এ ঘটনায় অবশ্য তিনি তার বৃটিশ পাসপোর্টের প্রাপ্যতা হারিয়েছেন। কিন্তু হারার পাত্র নন আবু রায়াহ। দেওয়ানী মামলায় সরকারকে ঝুলিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কায়দা করতে পারেননি। বৃটেনের জাতীয় নিরাপত্ত্বার কারণে ২০১৫ সালের মার্চ মাসে তার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। পরে তিনি জুডিশিয়েল রিভিউতে যান কিন্তু সেখানেও হেরে গেছেন। বৃটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক সারসংক্ষেপে বলা হয় ক্রমাগত সন্ত্রাসী ও উগ্র ইসলামী গ্রুপগুলোর সাথে তার বার বার যোগাযোগের কারণে তিনি বৃটিশ পাসপোর্ট পাওয়ার বৈধতা হারিয়েছেন।
বৃটেনের গোয়েন্দা সংস্থা এমআইফাইভ মনে করে, আবু রায়াহ সম্ভবতঃ সিরিয়ার অন্যান্য ‘আল মোজাহিরিন’ সদস্যদের সাথে জড়িত আছে। এদের মধ্যে ওমর আলী হোসেন যে না-কি চারজন বন্দীর শিরোচ্ছেদ করেছে তার সাথেও আবু রায়াহ-এর যোগাযোগ থাকতে পারে।
এখন তিনি ‘জাষ্ট ইট’ নামের খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের হয়ে বিভিন্ন রেস্তুোরাঁ’র খাবার মানুষের ঘরে ঘরে সরবরাহের কাজে সক্রিয় রয়েছেন।
হেনরি জেকসন সোসাইটি’র চিন্তাবিদ গবেষকদের একজন এমা ওয়েব বলেছেন কট্টর মৌলবাদীদের ফিরে আসা দেশের নিরাপত্তা সেবার কাজে খুবই হুমকি স্বরূপ। এধরনের কট্টর ইসলামীচিন্তার প্রায় ৪শতজন দেশে ফিরে এসেছে এবং এরা অতীতে দেশেও জঙ্গি কাজে লিপ্ত ছিলেন। এ অবস্থা উদ্বেগেরতো অবশ্যই। ডেইলি মেইল থেকে অনুদিত। অনুবাদক- হারুনূর রশীদ।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT