মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বজ্রপাতে এক চা শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। টমেটো ক্ষেতে কীটনাশক প্রয়োগ করে বাড়ি ফেরার পথে গত সোমবার (১৮ আগষ্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার সীমান্তবর্তী মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানে সুজিত সতনামী টুনু (৩৮) বজ্রপাতে মারা যায়।
জানা যায়, পাত্রখোলা চা বাগানের নতুন লাইনের শ্রমিক টেক্কু সতনামীর ছেলে সুজিত সতনামী টুনু পাত্রখোলা চা বাগানের পার্শ্ববর্তী মাতালি হাওরে নিজ টমেটো ক্ষেতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে যায়। এ সময়ে আকাশে মেঘের তর্জন গর্জন দেখে দ্রুত কীটনাশক প্রয়োগ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আকস্মিক বজ্রপাতে সুজিত সতনামী টুনু ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা লাশ উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। কমলগঞ্জ থানার এসআই অনিক রঞ্জন সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল জানান, বজ্রপাতে মৃত্যুর বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। সরকারিভাবে আর্থিক অনুদান পাওয়া গেলে নিহতের পরিবারকে সহায়তা করা হবে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর হাসপাতালে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। ইংল্যান্ড ভিত্তিক সহায়তাকারী সংস্থা ইস্ট হ্যান্ড এর সহায়তা ও শমশেরনগর হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় মৌলভীবাজার অন্ধকল্যাণ সমিতির বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে বেলা ৪ টা পর্যন্ত চক্ষু ক্যাম্প পরিচালনা করেন। জেলার কমলগঞ্জ, কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩ শতাধিক চক্ষু রোগী বিনামূল্যে চক্ষু ক্যাম্পের সেবা গ্রহণ করে।
![]() |
শমশেরনগর হাসপাতাল কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম বলেন, ২ দিন বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা করলে রোগীরা আগে থেকেই নিবন্ধন করে সোমবার শমশেরনগর হাসপাতাল এসে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে। আগত রোগীরা এসে স্বাচ্ছন্দ্যে সেবা গ্রহণ করেন।
মৌলভীবাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক আব্দুল মানান, চিকিৎসক ইমরান আহমেদ ও চিকিৎসক মোজাহের হোসেনের নেতৃত্বে ৩ শতাধিক রোগীদের সেবা প্রদান করা হয়।
চিকিৎসক মোজাহের হোসেন বলেন, খুবই সুন্দর পরিবেশে ৩ শতাধিক রোগীর চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এর থেকে ছানি পড়া ৫৫ জনকে বাছাই করে বিনামূল্যে অপারেশনের জন্য মৌলভীবাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।