লন্ডনঃ দেশ বিরোধী অপশক্তি আবারও নতুন করে ষঢ়যন্ত্র শুরু করেছে। এরা দেশে বিদেশে অত্যন্ত সক্রিয়। স্যাকুলার বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব অপশত্তির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি লক্ষ লক্ষ ডলার/ পাউন্ড খরচ করে দেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিনত করতে চায়। এমন্তব্য বীর মুক্তিযোদ্ধা যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডেন্ট একুশে পদক প্রাপ্ত বিজ্ঞানী ও লেখক ড. নূরুন নবীর। ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে পুর্বলন্ডনের বাংলা টাউনের আমারগাঁও রেষ্টুরেন্টে যুক্তরাজ্য বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং তার স্বপ্নের সোনার বাংলাকে প্রতিষ্টিত করতে হলে বর্তমান সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আসতে হবে। না হয় দেশের অগ্রযাত্রা বন্ধ হয়ে যাবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সাথে তার প্রথম দেখা ৬দফা, ১১ দফার আন্দোলন, ৬৯এর গণ অথ্যূত্থান এবং মুক্তিযুদ্ধে তার অংশ গ্রহন ইত্যাদি তুলে ধরে বলেন বঙ্গবন্ধু ছিলেন খাঁটি দেশপ্রেমিক-সাড়ে সাত কোটি মানুষের নেতা। আমাদের সকলকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করতে হবে। আগামী বছরের শুরুতে আমেরিকায় আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু সম্মেলনের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরে বলেন বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্যরা আন্তর্জাতিক এসম্মেলনে অংশ নেবেন।
যুক্তরাজ্য বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক সাবেক ছাত্র নেতা আলিমুজ্জামান ও টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক স্পীকার আহবাব হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্টিত মত বিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান, সর্বইউরোপীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক সভাপতি ডাঃ জাহিদ হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড, জিনাত নবী।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীদের ভবিষ্যৎ করনীয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয় চারনেতা পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট লেখক এ্যাডভোকেট শাহ ফারুক আহমদ, ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রেসিডেন্ট সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মারুফ চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্র নেতা আব্দুল আহাদ চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক সুজাত মসনুর, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের নিগার চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নূরুল ইসলাম, ব্রিকলেন ফিনারেল সার্ভিস-এর প্রতিষ্টাতা ও ব্রিকলেন জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সদস্য পারভেজ কোরেশী, ফয়সল আহমদ, যুক্তরাজ্য বঙ্গবন্ধু পরিষদের নির্বাহী সদস্য সাদ মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল জলিল চৌধুরী প্রমুখ।
যুক্তরাজ্য বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে একুশে পদকপ্রাপ্ত এই গুণী ব্যক্তিত্বকে ক্রেষ্ট প্রদান করা হয় এবং ইউকেবিডি টিভির পক্ষ থেকে অতিথিকে ফুল দিয়ে বরণ করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নূরুল ইসলাম।
বৃটেনে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, কমিউনিটি নেতা, রাজনীতিবীদ, প্রবীন রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট সমাজসেবী একাটুনা ইউনিয়ন ফাউন্ডেশন অব মৌলভীবাজার এর প্রতিষ্ঠাতা ট্রাষ্টি ও ‘প্রাউড টু বি সিলেটি ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট ইউক’এর উপদেষ্টা মরহুম আলহাজ্ব মিয়া মনিরুল আলমের মৃত্যুতে গত রোববার রাত ১১টার সময় ভ্যাচ্যূয়ালী এক স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
দোয়া পরিচালনা করেন কাডিফ শাহজালাল মসজিদের ঈমাম ও খতীব মাওলানা কাজি ফয়জুর রহমান। শুরুতেই কুরআন থেকে পাঠ করেন হাফিজ মিফতাউর রহমান। তাঁর মৃত্যুতে আমাদের কমিউনিটির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করার জন্য জাতি তাঁকে চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে বলে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, মরহুম মিয়া মনিরুল আলম ব্যক্তিগত জীবনে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন একাধারে একজন সংগঠক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, পরোপকারী দানশীল মানুষ, বড় ভাল মনের মানুষ ছিলেন। চলমান সমাজে তার মত দানশীল মানুষ খুব কম দেখা যায়।তিনি ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রাণ পুরুষ। প্রবাসে বাংলাদেশের গৌরবের মুক্তিযুদ্ধ সহ কমিউনিটির নানা দুঃসময়ে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বিলেতে তার অবদান বাংলাদেশী কমিউনিটি দীর্ঘকাল শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
সভায় বক্তারা বলেন যে -মিয়া মনিরুল আলম ছিলেন কমিউনিটির জন্য নিবেদিত একজন বিশ্বস্ত বন্ধু। মানুষের যে কোন দুঃখ কষ্ট দেখলে এগিয়ে আসতেন।গরীবদের সাহায্য করতেন।সদা হাস্যজ্বল একজন কমিউনিটি নেতা ছিলেন।
বক্তারা আরো বলেন যে -বৃটেনের ক্যাটারিং ব্যবসার তিনি ছিলেন অন্যতম পথিকৃত।ক্যাটারিং এসোসিয়েশনকে তিনি দীর্ঘকাল নেতৃত্ব দিয়ে সংগঠণকে শক্তিশালী করেছেন।বিলেতের বৃহত্তম কমিউনিটি সংগঠণ গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের কেন্দ্র ও রিজিয়নে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।