হারুনূর রশীদ।।
দুনিয়ার সম্পদের বন্টন এতোই বৈষম্যমূলক যে তা শুনলে যে কেউ অবাক হবে আর অনেকেই হয়তো বিশ্বাসই করবে না। উত্তর আমেরিকা, দুনিয়ার মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪.৯% ভাগ মানুষের আবাসভূমি অথচ বিশ্বের মোট সম্পদের মোট ২৬.৫% ভাগ তাদের কাছে। অন্যদিকে, বিশ্বের শতকরা ২৩.৭ ভাগ মানুষের অবস্থান হল দক্ষিন এশিয়ায় কিন্তু দুনিয়ার মোট সম্পদের মাত্র ৩.৬% ভাগের মালিক তারা।
জাতীয় মাত্রায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রায় একই নমুনায় অগ্রসর হয়। দরীদ্র উন্নয়নশীল দেশগুলি গ্রামভিত্তক অনগ্রসর আর মূলত কৃষির উপর নির্ভরশীল। পক্ষান্তরে সম্পদশালী দেশগুলো বিপুল পরিমানে উন্নত শহর ভিত্তিক জনগুষ্ঠী নিয়ে গড়ে উঠেছে আর তাদের রয়েছে বিভিন্নমুখী শিল্পভিত্তিক কলকারখানা। বহু জঠিল বিষয় রয়েছে যা অনেক গরীব দেশের অর্থনীতিকে সামনে এগিয়ে যেতে দেয় না। পেছনে টেনে রাখে। এসব অনেক বিষয় আছে যা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে আর বিশ্বের গরীব দেশগুলিকে বহু চেনা-জানা পরিচিত বৈশিষ্ট্যকে বয়ে নিয়ে চলতে হয়।
একটি শিক্ষিত জনগোষ্ঠী এবং বিশ্বস্ত উপরিকাঠামো অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। আশ্চর্য্য হবার কিছুই নেই যে এই অবস্থা দুনিয়ার গরীব দেশগুলিতে দর্শনযোগ্যভাবেই অনুপস্থিত। বলা যায়, বিশ্বের ২৫টি গরীব দেশের মধ্যে ১৭টিতেই দেখা যাবে তিন ভাগের একভাগ যুবসংখ্যা অশিক্ষিত। এতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন মুশ্কিলে পড়ে। আর হবেই বা না কেনো, ২৫টি গরীব দেশের ২১টির বেশীরভাগ জনগুষ্ঠী বিদ্যুতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকে।
খুবই মারাত্মক রূপে সীমিত আর্থিক মূলধন ব্যবহার করে চালাতে গিয়ে বহু গরীব দেশের পর্যাপ্ত ডাক্তার থাকে না, থাকে না আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা। আংশিকভাবে, এর ফলে জীবনায়ূ সব সময়ই ধনী দেশের তুলনায় অনেক কম থাকে। বিশ্বের সর্বমোট ২৫টি গরীব দেশের মানুষের গড় আয়ূ কখনও ৭০বছরের উপরে যায় না। মধ্য আফ্রিকার জাতি চাঁদে গড় জীবনায়ূ মাত্র ৫১.৬ বছর যেখানে আমেরিকায় গড় জীবনায়ূ ৭৮.৯ বছর। (ইন্টারনেট অবলম্বনে)
লন্ডন: শুক্রবার, ১৬ই অগ্রহায়ণ ১৪২৩