লন্ডন: শনিবার, ২৮শে মাঘ ১৪২৩।। বাংলাদেশেরতো আর নিজস্ব কোন গাড়ী তৈরীর কারখানা নেই। তাই বাংলাদেশের বাজার সয়লাব বিদেশী গাড়ীতে। বাংলাদেশের কোন ব্যবসায়ী কোম্পানী এমনতরো কোন পরিকল্পনা নিয়েছেন তা শুনা যায়নি কখনও। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আমলে “প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ” নামে একটি দাড় করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। সেটির বর্তমান অবস্থা কিছুই জানা যায়না। আছে কি নেই তাও আমাদের মত পাতি ধনীরা জানতেই পারিনা।
তবে গাড়ী একখানা ছিল ভারতের। সে গাড়ীর নাম জানে না এমন পাতি ধনবান খুব কমই আছেন। “আমবেসেডর” এর নাম শুনেনি এমন পাতি-উঠতি ধনির সংখ্যা শূন্যই হবে বলে আমার অনুমান। সেই ১৯৫৮ সাল থেকে খুবই দাপটে চলেছে সারা ভারত জুড়ে। কিন্তু বর্তমানে ভারতের বাজার ছেয়ে গেছে দেশি-বিদেশি নানা মডেলের গাড়ীতে। আর তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে নিজেকে কেনো জানি বদলাতে পারেনি “এমবেসেডর”। তাই বিদেয় নিতে হচ্ছে পুরনো মালিক “হিন্দুস্তান মোটরস” এর হাত থেকে।
“এমবেসেডর” ব্রান্ডটি কিনে নিয়েছে ফরাসি একটি গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি “পিউজো এসএ”। আর এ নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা খুব রসিয়ে লিখেছে- আটের দশক পর্যন্ত ভারতের বাজারে একচ্ছত্র ভাবে দাপিয়ে বেড়িয়েছে হিন্দুস্থান মোটরসের এই গাড়ি। ১৯৮০ সালে এমবেসেডরকে প্রথম চেলেঞ্জ জানায় মারুতি ৮০০। কিন্তু তাতে এই গাড়ীর চাহিদা ধসে যায়নি। কিন্তু নয়ের দশক থেকে দলে দলে ঢুকতে শুরু করল, বিদেশি নিত্যনতুন ব্রান্ডের গাড়ি। আর পিছতে শুরু করল এ দেশের এক কালের গাড়ি-ব্রান্ড এমবেসেডর। সময়ের সঙ্গে তাল রাখতে চেহারা এক রেখেই এ গাড়িতে একটু আধটু বদলও যে আসেনি এমন নয়। কিন্তু ধোপে টেকেনি। কালের নিয়মে নিজেকে বদলাতে না পারা, ক্রেতাদের নতুন পছন্দ আর আধুনিকতার দাপটে চাহিদা কমতে কমতে তলানিতে ঠেকে গিয়েছিল এমবেসেডরের। অবশেষে বিক্রি হয়ে গেল, তাও নাম মাত্র দামে। ট্রেডমার্ক সহ এমবেসেডর ব্রেন্ডটি ৮০কোটি টাকায় হাতবদল হয়েছে। তবে “হিন্দুস্থান মটরস” ও “পিউজো এসএ” এর মধ্যে গত মাসে ৭০০কোটি টাকার একটি চুক্তি হয়েছে যা বিনিয়োগ করা হবে ভারতের গাড়ী বাজারে। (আনন্দবাজার অবলম্বনে)