সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পনেরো দিনের সময় দিয়ে বলেছেন ফুটপাথ থেকে অবৈধ স্থাপনা না সরালে—কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিবহণে যাত্রীদের ভোগান্তি দূর করতেই এ অভিযান। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে যারা অবৈধ স্থাপনা না সরাবে ১৫ মার্চের পর থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিঃসন্দেহে সময়োপযুগী অতীব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। যদিও কিছু যাত্রী সাধারণ, ভ্রাম্যমান আদালতের কার্য্যক্রম অব্যাহত রাখার অনুরোধ রেখেছেন।
এখানে একটি কথা মন্ত্রীমহোদয় সহ সকলের নজরে আনা সুবিবেকের কাজ বলে মনে করছি।
এই ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ, স্থাপনা উচ্ছেদ নতুন কোন যুগান্তকারী উদ্যোগ অবশ্যই নয়। ফেলে আসা অতীতের পাকি আমল থেকেই দেখে আসছি, এ ধরনের অভিযান চলে আসছে।
ফুটপাতে ব্যবসা নিয়ে কারা বসে? নিতান্ত নিরীহ গরীব মানুষ। এ কথা বলার অপেক্ষাই রাখেনা যে এ ধরনের অভিযানে ক্ষতিগ্রস্থ হয় নেহাত গরীব ছিন্নমূল ঐ খেটে খাওয়া শ্রেণীর মানুষ।
বর্তমান সরকারের বহু নেতানেতৃ ক্ষমতায় যাওয়ার আগে আন্দোলনে থাকাকালীন এসব গরীব মানুষদের উচ্ছেদের আগে বিকল্প ব্যবস্থার কথা খুব জোড়েসুরে বলতেন। মন্ত্রীমহোদয়ের উক্তিতে সে ধরনের কোন আশ্বাসবাণী না শুনে একটু বিষ্ময়বোধ করছি। কারণ মন্ত্রী ওবায়দুল হক ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা একজন পরীক্ষিত আর অভিজ্ঞ রাজনীতিক। আর কিছু হোক আর না হোক খেটে খাওয়া মানুষের জীবন সংগ্রামে তিনি খুবই পরিচিত মানুষ। অবশ্যই জীবন সংগ্রামী মানুষের বেঁচে থাকার বিষয়টি তিনি দরদ দিয়ে দেখবেন।