আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পরই জামায়াতের সুরা সদস্য মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মৃত্যুপরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারকরা এ পরোয়ানা জারি করেন। পরে বিশেষ বার্তা বাহকের মাধ্যমে লাল কাপড়ে মোড়ানো ওই মৃত্যু পরোয়ানা জেল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির স্বাক্ষরের পর তা প্রকাশ করা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন দাখিল করতে হলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মীর কাসেমকে তা করতে হবে। তিনি যদি তা না করেন ওই ১৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর সরকার ফাঁসির জন্য যে তারিখ নির্ধারণ করবে জেল কর্তৃপক্ষকে সেদিনই তা কার্যকর করতে হবে। আর মীর কাসেম যদি রিভিউ করেন তাহলে তার ফাঁসির বিষয়টি নির্ভর করবে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ের পর। এর আগে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছিল।
পূর্ণাঙ্গ রায় বরিবার বিকালে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আপিল বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান রায়ের অনুলিপি নিয়ে যান। পরে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার শহীদুল আলম ঝিনুক তা গ্রহণ করেন। রায়ের অনুলিপি ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হক, বিচারপতি শাহীনূর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সামনে উপস্থাপন করা হয়। এরপরই বিচারকরা মৃত্যুপরোয়ানা জারি করেন। পরে বিশেষ বার্তা বাহকের মাধ্যমে তা কারাকর্তৃপক্ষ, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়।(ইত্তেফাক থেকে)