মৌলভীবাজার সংবাদদাতা।। মৌলভীবাজার-৩ আসনের ঐক্যফ্রন্ট মনোনিত প্রার্থী এম নাসের রহমান পৌর মেয়রের অফিস কক্ষে ব্যালেট রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার রাত ১১টায়
সদর উপজেলার বাহারমর্দনস্থ নিজ বাড়িতে এক সংবাদসংক্ষেপ বৈঠকের মাধ্যমে অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার রাত ৯টায় মৌলভীবাজার পৌরসভায় উপস্থিত হয়ে ২য়তলায় মেয়রের অফিস কক্ষে কয়েক বস্তায় ব্যালট রয়েছে মর্মে চ্যালেঞ্জ করেন এবং এ গুলো খুলে দেখানোর জন্য বলেন। এসময় মেয়র তাড়াহুড়া করে বিএনপি প্রার্থীকে নীচ তলায় নিয়ে কাউন্সিলর কক্ষে বসান। তাৎক্ষনিক বিএনপি প্রার্থী নাসের রহমান বস্তায় ব্যালট রয়েছে মর্মে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। এসময় পুলিশ না আসায় বস্তা ভর্তি ব্যালট সরিয়ে নেয়। তিনি বলেন, প্রায় ৫০ হাজার ব্যালেট নৌকা প্রার্থীর পক্ষে ব্যালট বক্সে ঢুকানোর পরিকল্পনা হিসেবে এই কাজটি করা হচ্ছিল।
তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারকে কয়েকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তিনি সেনাবাহিনীকে বিষয়টি জানান। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে আইন শৃংখলা বাহিনীর কোন সদস্য না আসায় তিনি পৌরসভা থেকে বের হয়ে তার গাড়িতে উঠতে গেলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা তার গাড়ীর ভেতর কালো টাকা রয়েছে বলে তার গাড়ী সহ আরো একটি গাড়িতে ভাংচুর চালায়। পরে নৌকার সমর্থকরা শহরে মিছিল করে সিলেট সড়কে অবস্থিত বিএনপির প্রধান কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ সহ অরো ৫টি গাড়ী ভাংচুর করে।
এদিকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় এ সংবাদদাতাকে মুঠোফোনে নাসের রহমান বলেন- “রাত ৯টা-সাড়ে ৯টায় মৌলভীবাজার পৌরসভায় কালা-কালা বস্তা নিয়া কয়েক বস্তা জাল ভোট নিয়া আসছিল। আমি তাৎক্ষনিক চ্যালেঞ্জ করেছি, পৌর মেয়র কোন উত্তর দিতে পারেননি”। পরে তার গাড়িতে ছাত্রলীগ হামলা করে ভাংচুর করে বলে তিনি জানান।
এদিকে মৌলভীবাজার পৌর মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান মুক্তকথাকে বলেন, “কি বলবো, আমি আ’লীগের মানুষ, পৌরসভার মেয়র ও দলের জেলা যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক। যেহেতু নৌকা নিয়ে কাজ করছি তাই আ’লীগের নেতা-কর্মীরা এখানে এসে আলাপ-আলোচনা করবে, এটাই স্বাভাবিক। তিনি আরো বলেন, ব্যালেট পেপার পৌরসভায় আসবে কেন(?) ডিসি অফিসে ওই পেপার থাকে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তিনি(নাসের রহমান) এ ঘটনা সাজিয়েছেন।