বিএনপি জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাস, হরতাল, অবরোধ ও দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজারে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল(জাসদ) সমর্থিত জাতীয় যুব জোটের এক বিক্ষুভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষুভ মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে চৌমুহনায় এসে সমবেত হয়ে সমাবেশে অংশ নেয়।
উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা জাসদের সভাপতি আব্দুল হক, সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন নজরুল, জাতিয় যুব জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি মোস্তাক আহমদ, মৌলভীবাজার জাতীয় যুব জোট সভাপতি জাকির হোসেন ও আনোয়ার হোসেন দুলাল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মৌলভীবাজার জাতীয় যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ আহমদ।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি ক্রমশ খুবই খারাপ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার(ইউএনআরডব্লিউএ) যোগাযোগ পরিচালক জুলিয়েট্টি তৌমা।
গাজায় হামাস-ইসরাইল সংঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার শিশুরা।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিবিসি নিউজ চ্যানলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গাজায় সফরে আসা জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের কাছে সেখানকার শিশুরা এক টুকরো রুটি এবং এক চুমুক পানি চাইছে। তবে মিলছে না সেই সহায়তা। কারণ আমাদের কাছে সরবরাহ নেই। এছাড়া জ্বালানির ঘাটতি নিয়েও আমাদের একই সমস্যা রয়েছে।
জুলিয়েট্টি তৌমা বলেন, ইউএনআরডব্লিউএ বর্তমানে ১৫০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৭ লাখের বেশি মানুষকে সহায়তা করছে। আমার সহকর্মীদেরও হত্যা করা হচ্ছে। এই সংখ্যাটি এখন পর্যন্ত ৯৯ জনে এসে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে আর কোনো একক সংঘাতে সংস্থাটির একসঙ্গে এত কর্মীর প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে ইউএনআরডব্লিউএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গাজার পরিস্থিতি ক্রমশ খুবই খারাপ অবস্থার দিকে চলে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এখানে আরও সহায়তা পাঠানো প্রয়োজন। দুটি জিনিসের বিশেষ প্রয়োজন; সেগুলো হলো জ্বালানি ও মানবিক যুদ্ধবিরতি।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের অভিযানের পর থেকে গাজায় আর কোনো জ্বালানি ঢুকতে দেয়নি ইসরাইলি বাহিনী। তাদের পদক্ষেপে সেখানে মানবিক বিপর্যয় ঘটছে বলে জাতিসংঘের অভিযোগকে তারা অস্বীকার করছে।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এতে প্রায় ১১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬ হাজারের বেশি নারী ও শিশু।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ও মৌলভীবাজারের প্রাক্তন সিভিল সার্জন ডা. সত্যকাম চক্রবর্তী’র বড়মেয়ে শ্রীমঙ্গলের কৃতি সন্তান সুকণ্যা চক্রবর্তী অতি সম্প্রতি আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া অংগরাজ্যের সানফ্রান্সিসকোর “University of Sanfransisco” থেকে “International Studies” বিষয়ে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে।
সুকণ্যা গত ৮ অক্টোবর ২০২১ ইংরেজিতে স্কলারশীপসহ নিজ প্রচেষ্টায় ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে আমেরিকা গমন করে। বর্তমানে সে আমেরিকায় একটি প্রতিষ্ঠিত বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীতে যোগদান করেছে। সে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ে দর্শন শাস্ত্রে গবেষণা করতে আগ্রহী।
উল্লেখ্য, সুকণ্যা চক্রবর্তী শ্রীমঙ্গলের স্বনামধন্য শিক্ষাগুরু, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রাক্তন শিক্ষক প্রয়াত নীলিমা চক্রবর্তীর নাতনী।
সুকণ্যার গর্বীত পিতা ডা. সত্যকাম চক্রবর্তী বলেন, তার এই অগ্রযাত্রায় দেশ-বিদেশের যে সকল শুভানূধ্যায়ী, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব শুভকামনা সহ শুভাশীর্বাদ জানিয়েছেন তাদের সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।