লন্ডন: কলকাতার আজকাল একটি খবরের এমন এক শিরোনাম দিয়েছেন যে প্রথম দৃষ্টিতে যে কেউ বুঝবে এটি একটি মরার খবর। আমিও তাই বুঝেছিলাম। পরে, পড়তে গিয়ে দেখি সেটি কোন কারো মরে যাবার খবর নয়। মনের মাঝে স্বাভাবিক প্রশ্ন আসে প্রতিষ্ঠিত পত্রিকা “আজকাল” যদি ব্যবসার চিন্তা থেকে এমন নমুনার শিরোনাম বেচে নেন তা’হলে ফেইচবুকের ওই সকল ভূঁয়া খবরগুলির দোষ দেয়া কি যায়? আজকাল খবর দিতে গিয়ে শিরোনাম দিয়েছে-
লটারি জিতেই জীবন শেষ জেনের
তারপর লিখেছে- লটারি জিতেছিলেন ১ কোটি ডলার। ভেবেছিলেন জীবন হবে আনন্দের। কিন্তু ফল হল উল্টো। লটারি জেতার পর তাঁর জীবন আরও কঠিন হয়ে পড়ল। ব্রিটেনের বাসিন্দা জেন পার্ক মাত্র ১৭ বছর বয়সে ১ কোটি ডলার লটারিতে জেতেন। সেই বিপুল পরিমান অর্থ অনেকটাই বদলে যায় জীবন। কারণ, তিনি ছিলেন গোটা ইউরোপের সবচেয়ে কমবয়সের লটারি বিজেতা। সেই জন্যই টিভিতে, সংবাদ মাধ্যমে তাঁর নামও ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েকটি রিয়েলিটি শো–য়েও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু প্রথম বিরক্তিকর ঘটনাটি ঘটে গত অক্টোবর মাসের ৩ তারিখে।
এডিনবরার রাস্তায় একটি ম্যাকডোনাল্ডস এর সামনে দিয়েও নিজের ঝাঁ চকচকে বিএমডাব্লিউ নিয়ে যাচ্ছিলেন জেন। পুলিস অভিযোগ করে, সেই রাতে জেন স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ৩ গুন বেশি মদ খেয়েছিলেন। সেই অভিযোগর ভিত্তিতে আদালতে মামলাও রুজু হয়। কিন্তু আদালতের শুনানি চলাকালীনই যখন রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খোঁজার চেষ্টা করা হয়, দেখা যায় কেউ একজন সেই একটি সিসিটিভির ফুটেজ নষ্ট করে দিয়েছে।
জেন নিজে মনে করছেন, তাঁর লটারি জেতার বিষয়টি সহ্য করতে না পেরেই এই প্রমাণ মুছে দেওয়া হয়েছে। কারণ, তিনি নির্দোষ। জেনের আইনজীবীও বলেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ না পেলে তাঁর দোষ প্রমাণ করা সম্ভব নয়। জেনি বাধ্য হয়েই তাই লটারি সংস্থাকে লিখেছেন, ‘আপনারা লটারি জেতার বয়স ঠিক করুন। আমার বয়সের কেউ লটারি জিতলে তাঁর ভবিষ্যৎ একেবারে নষ্ট হয়ে যাবে। (আজকাল থেকে)