মৌলভীবাজার অফিস: প্রয়াত সঙ্গীত শিক্ষক শ্রী আদিত্য মোহন বাগচী স্মরণে স্মরণ সভা হতে যাচ্ছে মৌলভীবাজার শিল্পকলা একাডেমীতে। আয়োজনের উদ্যোক্তা স্বাধীনতা পরবর্তী মৌলভীবাজারের প্রথম বেসরকারী সঙ্গীত বিদ্যালয় ‘রাগরঙ’ সঙ্গীত আকাদেমি।
দুনিয়াতে কোন সাধকই সাত তারাতারি সাধনার উচ্চমার্গে পৌঁছাতে পারেননি। যে কোন কাজের চরম লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে ত্যাগী মন নিয়ে সময় দিতে হয়। দায়ীত্ব নিয়ে নিষ্ঠা আর একাগ্রতার সাথে নিরলস কাজ করে যেতে হয়। তবেই না সফল মার্গে পৌঁছা। এটাই সফলতার একমাত্র মার্গ। তেমনি এক সঙ্গীত সাধক ছিলেন আদিত্য বাগচী।
শ্রী আদিত্য মোহন বাগচী প্রথম জীবনে, যৌবনের সূচনায় নেশায় নেশায় সঙ্গীতের চর্চ্চায় মনোযোগী হন। পরে সঙ্গীতাঙ্গনে তার বিচরণ ছিল পেশার তাগিদে। কিন্তু জীবন সায়াহ্নে এসে সঙ্গীত হয়ে উঠে তার বাকী জীবনের ব্রত। সংগীতের মন উতলা মাধুর্য্যবিভা ছড়িয়ে গেছেন মৌলভীবাজার শহরের প্রতিটি পাড়ায় মহল্লায়। আদিত্য মোহন বাগচী তাই বেঁচে থাকবেন দক্ষিন সিলেটের মনুবাহিত অঞ্চলের অসংখ্য শিল্পীর মনোজগতে আর গানের প্রতিটি পরতে পরতে।
স্মরণ সভার আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান “রাগরঙ সঙ্গীত আকাদেমী”র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ডাডলি ডেরিক প্রেন্টিস তার নিমন্ত্রণপত্রে লিখেছেন-“আট এর দশক থেকে বিগত দীর্ঘ তিনটি যুগ ধরে আপনারা যাঁরাই শ্রী বাগচী মহাশয়ের সান্নিধ্যে এসেছেন, কিছুটা হলেও সঙ্গীতে তালিম পেয়েছেন…।” আর তিনিই ছিলেন সঙ্গীতনিধি আদিত্য মোহন বাগচী। আগামী ২রা এপ্রিল সোমবার মৌলভীবাজার শিল্পকলা একাডেমীতে বিকেল ৫টায় শুরু হবে স্মরণ সভা।
গত ১৬ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার ২০১৮ই দুপুরে নিজ বাড়ীতে এই সঙ্গীত সাধক পরলোকগমণ করেন।