মুক্তকথা: শনিবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০১৬।। গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ ভারতের বেনাপুল-পেট্রাপুল সীমান্ত আর শান্তি নিকেতনে আজ ব্যস্ত দিন কাটালেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। সীমান্তে উভয় দেশের কর্মকর্তাদের সাথে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা ও বৈঠকে সময় দেন হাইকমিশনার। তিনি তার ফেইচবুক স্টেটাসে লিখেছেন-“The ICP was inaugurated by both PMs on 21 July but it will take at least two years to be completed.” পরে সেখানেই জুম্মার নামাজ আদায় করেন এবং বাংলাদেশ সীমান্ত চৌকিতে মধ্যাহ্নভোজের পর কলকাতা ফিরে যান।
সীমান্তে ব্যস্তদিন কাটানোর পর আজ শনিবার ১৭ সেপ্টেম্বর, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনে নির্মাণাধীন ‘বাংলাদেশ ভবন’ পরিদর্শন করেন দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী।
এ সময় হাইকমিশনারের স্ত্রী ছাড়াও কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার জকি আহাদও সাথে ছিলেন।
বাংলাদেশ ভবন পরিদর্শন পরিদর্শনকালে সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী, জকি আহাদ এবং কাউন্সিলর মাইনুল কবির বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর স্বপন দত্তের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। খোঁজ-খবর নেন শান্তি নিকেতনে নির্মাণাধীন ‘বাংলাদেশ ভবনে’র কাজের বিষয়েও।
বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে ২৫ কোটি রুপি ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ ভবন’ নির্মাণ করছে বাংলাদেশ সরকার। নির্মাণ কাজ বেশ এগিয়েছে, ২০১৭ সালের অক্টোবর নাগাদ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভবন নির্মাণে কাজ করছে ভারতীয় সংস্থা এনবিসিসি। এ সময় কলকাতার উপ হাইকমিশনার জকি আহাদ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কাজের অগ্রগতির বিষয়ে কথা বলেন। ভবন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি নিয়ে দু’জনই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
শান্তি নিকেতনে দুই বিঘা জমিতে ৪৫ হাজার বর্গফুট জায়গায় দ্বিতল এ ভবনে থাকছে- আলোচনা সভা মঞ্চ, পাঠাগার, ক্যাফেটেরিয়া, বাংলাদেশি পড়ুয়াদের থাকার ব্যবস্থা।
থাকবে বাংলা ভাষা ও বাংলা চর্চা কেন্দ্রও। গবেষণার সুযোগ নিতে পারবেন বিদেশি ছাত্ররাও।