লন্ডন: রোববার, ১লা মাঘ ১৪২৩।। বেশ কিছুদিন নীরব থাকার পর আবার হেফাজতে ইসলাম সুর তুলেছে। এবার তাদের দাবী, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি সরিয়ে নিতে হবে। রবিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে হেফাজতের মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এ দাবির জানান দেন।
তাদের মতে, গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপনপূর্বক এটি আমাদের জাতীয় মন ও মানসে বিজাতীয় কৃষ্টির অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা এবং এ অবস্থা তারা মেনে নিতে চান না। অবশ্য দৈনিক ইত্তেফাক লিখেছে-“আমরা বরদাশত করব না”। তাদের বিবৃতিতে তারা আরও বলেছেন যে, গ্রিকপুরাণের কল্পিত দেবী থেমিস রোমানদের কাছে ন্যায়ের প্রতীক হতে পারে, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য থেকে ধার করে কেন হীন ঔপনিবেশিক ধ্যানধারণা লালন করব? আমরা ভূইফোঁড় কোনও জাতি নই যে, পরজীবিতার আশ্রয় নিতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, রোমানদের কাছে ন্যায়ের প্রতীক কল্পিত গ্রিক দেবীর সঙ্গে এই দেশের ঐতিহ্য, ইতিহাস ও ভাব-সম্পদের ন্যূনতম সম্পর্ক নেই। এরপরও কিভাবে আমাদের হাইকোর্টের সামনে এ রকম অগ্রহণযোগ্য ও বিজাতীয় মূর্তিকে স্থাপন করা হলো? কারা, কী উদ্দেশ্যে এটি করার সুযোগ পেলো কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দেশের মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। দেশের ৯২ ভাগ মুসলমানের চিন্তা চেতনার পরিপন্থি গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার সর্বোচ্চ স্থান সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে কথিত ন্যায়ের প্রতীক নগ্ন-অশ্লীল দেবী থেমিসের মূর্তি স্থাপন হচ্ছে চরম ধৃষ্টতা এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের অবমাননা। স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের নিজস্ব ইতিহাস, কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও আত্মমর্যাদাবোধেরও সম্পূর্ণ বিপরীত ও সাংঘর্ষিক। গ্রিক দেবীর মূর্তি নয়, মুসলমানদের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতীক হলো মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন। মহান আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলামে মূর্তি স্থাপন হারাম।
সরকারের প্রতি অনেকটা হুমকি দিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অবিলম্বে এই মূর্তি অপসারণ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ তৌহিদি জনতার ক্ষোভ প্রশমিত করতে হবে। অন্যথায় ধর্মপরায়ন জনগণের সমর্থন হারালে এবং তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে আপনারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।(ইত্তেফাক থেকে)