দিল্লীর “লালাকেল্লা” প্রাসাদটি যা একসময় ছিল মোগল সম্রাটদের বসতবাটী। শুধুই বসতবাটী নয় ভারতে কয়েক শত বছর মোগল শক্তির একক প্রতিনিধিত্ব করে গেছে এ প্রাসাদটি। নিঃস্ব সর্বসান্ত এক ভারতীয় মহিলা ইদানিং দাবী করেছেন তিনিই হলেন মোগল রাজবংশের সর্বশেষ উত্তরাধিকারী! সরকারী রক্ষনাবেক্ষনে থাকা আরোপিত মোগলদের একসময়ের রাজবাড়ী “লালকেল্লা”র তিনিই মালিক বলে এ দাবী উত্থাপন করেছেন ভারতের উচ্চ আদালতে।
এই সুলতানা বেগম বর্তমানে বাস করেন কলকাতার বাইরে বস্তিবেষ্টিত খুবই সংকুচিত দু’কামরার এক কুঁড়েঘরে। জীবন ধারণ করেন সামান্য পরিমানের এক অবসর ভাতার উপর। তার অধীনে থাকা পরিমিত সম্পদের মাঝে আছে তার বিবাহের কিছু দলিল ও কাগজ যাতে দেখা যায় মির্জা মোহাম্মদ বেদারবক্ত’এর সাথে তার বিয়ে হয়েছিল। আর এই মির্জা মোহাম্মদ বেদারবক্ত ছিলেন ভারতের সর্বশেষ মোগল শাসক বাহাদুর শাহ দ্বিতীয়-এর কথিত প্রপৌত্র।
সুলতানা বেগম মামলা নথিভুক্ত করেছিলেন নয়াদিল্লীতে অবস্থিত ১৭শ শতাব্দীর আরোপিত বিশাল মোগল স্থাপনা বিস্তৃত প্রাসাদ “লালকিল্লাহ”এর ন্যায্য মালিক দাবীদার হিসেবে ঘোষণা পাওয়ার জন্য। মোগল স্থাপত্যশিল্পের অপরূপ শিল্পনৈপূন্যের নিদর্শন এই লালকিল্লাহ প্রাসাদ বিশাল ভারতে মোগল ক্ষমতা আর শৌর্য্যবির্যের প্রানকেন্দ্র ছিল।
সুলতানা বেগম তার মামলার বিষয় হিসেবে দাবী করেন যে ভারত সরকার এই “লাল কিল্লাহ” প্রাসাদের অবৈধ দখলদার মাত্র যা তার নামে মালিকানা নথিভুক্ত করে দিতে হবে।
গেল সপ্তাহে দিল্লীর উচ্চ আদালত এ মামলাকে “সময়ের ব্যাপক অপচয়” উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করেন। তবে মোগল রাজবংশের একজন দাবীদার হিসেবে সুলতানা বেগমের দাবী সঠিক ও ন্যায্য কি-না সে বিষয়ে আদালত কোন নির্দেশনা দেননি। [কোড়া থেকে সংগৃহীত]