এ ঘটনাটি আমাদের দেশেই। এটিও দুনিয়ার আরেক আজগুবি আর পাশবিক ঘটনা। একজন হিংসাপরায়ন স্বামী এখন যাবৎজীবন জেল হাজতের সময় গুনছেন। ২১ বছর বয়সের হাওয়া আক্তার, তার স্বামী ৩০ বছর বয়সী রফিকুল ইসলাম। কাজ করেন ইউনাইটেড আরব আমীরাতে। মেয়েদের লেখা-পড়া তিনি পছন্দ করেন না। স্ত্রী হাওয়া লেখা-পড়ার প্রতি একটু উৎসাহী। তাই, রফিকুল ইসলাম স্ত্রী’কে হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছিলেন, লেখা-পড়া না ছাড়লে খুব মারাত্মক অবস্থার সম্মুখীন হতে হবে তাকে। তার পর একদিন রফিক দেশে ফিরে আসলেন। স্ত্রীকে বললেন কিছু কথা আছে। সেই আলাপের ছলে হঠাৎ করেই কিছু বুঝে উঠার আগে হাওয়া বেগমের চোখ বেঁধে ফেললেন। বললেন, মজার একটি উপহার দেবো। টেপ দিয়ে মুখে কলপ এঁটে দিলেন। তারপর পুরোপুরি পশুর মত হাতের সবক’টি আঙ্গল কেটে দিলেন। পুলিশের কাছে রফিক স্বীকার করেছে তার জঘন্য পাশবিক আঙ্গুল কাটার কথা। সে এখন জঘন্য এ অপরাধের চরম শাস্তির অপেক্ষায় রাজধানী ঢাকায় জেল হাজতে আছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো তার যাবজ্জীবন দন্ড দাবী করেছে। পুলিশের মতে রফিক যেহেতু মাত্র ৮ম শ্রেণী পাশ সেখানে তার স্ত্রী কলেজে পড়ুক হিংসায় এটা সে মেনে নিতে পারেনি। হাওয়া আক্তার বলেছেন তিনি বা-হাত দিয়েই তার লেখা-পড়া চালিয়ে যাবেন। তিনি বর্তমানে তার পিত্রালয়েই আছেন। অধিকমাত্রায় মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে মহিলাদের শিক্ষা থেকে দূরে রাখতে এ নমুনার পাশবিক আক্রমন নতুন কিছু নয়। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি টাইমস পত্রিকার বরাতে গত ১১ জুলাই মেইল প্রকাশ করেছে।