অতিসম্প্রতি একটি ভিডিও প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সে ভিডিও-তে দেখা যায় একজন হামাস সৈন্য আমেরিকান অস্ত্রের জন্য ইউক্রেনকে ধন্যবাদ দিচ্ছে। একজন আজরফ সামি কোড়া তড়িৎপত্রে একটি ছবিসহ ঘটনাটি নিয়ে লিখেছেন। এমন ঘটনায় খুব স্বাভাবিকভাবেই যে কোন মানুষের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে কি করে এমন ঘটছে? দুষ্ট বিবেকহীন পশু চরিত্রের মানবতাবিরোধী লোকেরা এ ধরনের ব্যবসা করতেই পারে। এটি যেমন সত্য, ঠিক তেমনি এসকল জঘন্য, ঘৃণ্য সমাজ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ দমন কিংবা ক্ষেত্র বিশেষে নির্মূলের ব্যবস্থা নেয়ার কি কোন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। দুনিয়ার সভ্য-সুশীল মানবসম্প্রদায় কি গড়ে তুলতে পারেনি? এমন অবস্থায় এখানে হয়তো প্রশ্ন আসবে আসলেই অস্ত্রগুলো ইউক্রেনের দেওয়া কি-না? এটিতো সত্য যে ইউরোপ-আমেরিকার অস্ত্রের অন্যতম বড় কালোবাজার হচ্ছে ইউক্রেন৷ এর আগেও বেশ কয়েকবার ইউক্রেনীয় সৈন্য কালোবাজারে ‘আরপিজি’ আর ‘রকেট লাঞ্চার’ বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। অতএব কালোবাজারে অস্ত্র বিক্রি করার অপবাদ তাদের আছে। এমনকি ইউএসএ’র কংগ্রেসেও এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
অতএব এটি নিশ্চিত যে অস্ত্র আমেরিকার। এখন জানার বিষয় যে কোন বিধি বা নিয়মে আমেরিকার ব্যবসায়ী গুষ্ঠী হামাসকে এ অস্ত্র দিয়েছে। কোন দেশের মাধ্যমে দিয়েছে সেটি অবশ্যই দেখার বিষয় কিন্তু তার আগে দেখার বিষয় ইসরায়েল, হামাস ও ইউক্রেনের কাছে এ অস্ত্র বিক্রি বিষয়ে প্রকাশ্যে জানার পর এমনকি তাদের কংগ্রেসে আলোচনার পর আমেরিকা এ অস্ত্র কালোবাজারী দমনে কি পদক্ষেপ নিয়েছে এবং না নিতে পারলে জাতিসংঘ কি ব্যবস্থা নিচ্ছে?! এ পর্যন্ত আদৌ কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কি-না।[পত্রস্ত ছবিটি কোড়া থেকে সংগৃহীত]