1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
১২হাজার ভরি সোনা আত্মসাৎ - মুক্তকথা
শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২২ পূর্বাহ্ন

১২হাজার ভরি সোনা আত্মসাৎ

বিশেষ সংবাদদাতা॥
  • প্রকাশকাল : সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৪২ পড়া হয়েছে

তদন্তের মাধ্যমে চোর চিহ্নিত করার পরও ১২ হাজার ভরি সোনা উদ্ধার সম্ভব হয়নি।

আজও মামলা চলছে।
এ নিয়ে দু’দক’এর মামলার ৪বছর চলে গেছে


বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়(এলজিআরডি) উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ সমবায় ব্যাংকের বারো হাজার ভরি সোনার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না এবং সমবায় ব্যাংকের বহু সম্পত্তি বেদখল হয়ে আছে, তার এমন বক্তব্যের পর  এবং দেশের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হবার পর এ নিয়ে নানা নমুনার আলোচনা চলছে সাধারণ মানুষসহ ব্যাপকভাবে সামাজিক মাধ্যমে। রোববার কুমিল্লার কোটবাড়ীতে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির(বার্ড) বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেছিলেন যারা একসময় ব্যাংকে ছিলেন তারাই এগুলো বেদখল করে রেখেছে। এরপর থেকেই ব্যাংকের এ বিপুল পরিমান সোনা কীভাবে উদাও হলো সেটি নিয়ে জনমনে ব্যাপক কৌতূহলের জন্ম দেয়। দেশের সকল সংবাদমাধ্যমেই এ খবর বড় বড় শিরোনামে প্রকাশ হয়েছে।

বিবিসা বাংলা লিখছে, ব্যাংকটির কর্মকর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন ঘটনাটি তিন বছর আগের এবং প্রায় আট হাজার ভরি সোনা কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া গ্রাহকরা তুলে নিয়েছিলো। পরে এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করে, যা এখনো বিচারাধীন আছে। দেশের প্রায় সকল সংবাদ ও গণমাধ্যম এমন চমৎকৃত হওয়ার মত খবর প্রকাশ করেছে।

সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, ব্যাংকটির ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসানুল গনি একটি বিশেষ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন ওই ঘটনায় ব্যাংকের একটি চক্র জড়িত ছিল এবং তদন্তের মাধ্যমে তাদের চিহ্নিত করা হয়। “ঘটনাটি সত্যি। ব্যাংকের কিছু লোক ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা এখন আদালতে বিচারাধীন আছে,” বিশেষ একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন তিনি।

 

তিনি বলেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর কোথায় কী অবস্থা আছে সেসকল খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে গিয়ে সমবায় ব্যাংকের অবস্থা দেখতে গিয়ে জানেন যে, ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি সোনার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং যারাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

পরে বিশেষ একটি সংবাদ মাধ্যম ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করলে এর কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেন যে ঘটনাটি ২০২০ সালের এবং এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ব্যাংকেরই আটজন কর্মকর্তার নামে মামলা করেছে দুদক, যা এখন আদালতে বিচারাধীন আছে।

প্রাতিষ্ঠানিক তদন্তের পর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তখনকার চেয়ারম্যানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সংস্থাটির একজন উপ-পরিচালক। এরপর পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তখন মামলায় অভিযোগ করা হয় এসব ব্যক্তিরা ব্যাংক থেকে দুই হাজার ৩১৬ জন গ্রাহকের বন্ধক রাখা সাত হাজার ৩৯৮ ভরি ১১ আনা সোনা আত্মসাতের চেষ্টা করেছে।

এর মধ্যে, ভুয়া ব্যক্তিকে গ্রাহক সাজিয়ে প্রায় সাড়ে এগারো কোটি টাকার সোনা তারা আত্মসাৎ করেন। এ মামলা এখনো চলছে।
কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ কোঅপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি নামের একটি সমবায় সমিতির সদস্যরা মোট প্রায় বারো হাজার ভরি সোনা ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ গ্রহণ করেছিলো।

এক পর্যায়ে ওই সমবায় সমিতি দেউলিয়া হয়ে যায়। এর মধ্যে করোনা মহামারি চলে আসে। সবমিলিয়ে যথাসময়ে ঋণ শোধ না করায় এক পর্যায়ে ব্যাংক সেই সোনা নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT