মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ২৫তম মণিপুরী ভাষা দিবস উপলক্ষে মণিপুরী ভাষা বিষয়ক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯২ সালের এ দিনে ভারতীয় সংবিধানে অষ্টম তপশীলে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সর্বভারতীয় পর্যায়ে অন্যতম প্রধান জাতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে মণিপুরী ভাষা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মণিপুরী ভাষাভাষি জনগণ এ দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে। ২৫ তম মণিপুরী ভাষা দিবস উপলক্ষে ‘মণিপুরী ভাষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা’র আয়োজনে রোববার বিকাল সাড়ে ৫টায় ভাষা বিষয়ক এক আলোচনা সভা কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুরস্থ তেতইগাঁও রশিদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম। প্রান্তিক উপজেলা কমলগঞ্জের এ খবরটি দিয়েছে ‘এইবেলা’।
‘এইবেলা’ লিখেছে, মণিপুরী ভাষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কবি এ কে শেরামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, জুড়ী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রনজিতা শর্মা, আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদাল হোসেন, বিশিষ্ট লেখক চৌধুরী বাবুল বড়ু–য়া, মণিপুরী কালচারাল কমপ্লেক্সের আহ্বায়ক এল জয়ন্ত কুমার সিংহ ও আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কে মনীন্দ্র সিংহ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মণিপুরী ভাষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এল শ্যামল সিংহ। প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল হক স্বপন ও অয়েকপম অঞ্জুর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুনীল সিংহ, রঞ্জিত সিংহ, কুঞ্জেশ্বর সিংহ, কন্তৌজন শিল্পী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ১০ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে ম্যাক একাডেমিক এচিভমেন্ট এওয়ার্ড-২০১৭ প্রদান করা হয়। আলোচনা সভা শেষে মণিপুরী লিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতি সত্তাসমূহের অন্যতম ‘মণিপুরী’রা বিগত প্রায় কয়েক শতাব্দী ধরে এদেশে বসবাস করে আসছে। সমৃদ্ধ সংস্কৃতির মতো প্রাচীনতা ও উৎকর্ষের গৌরবে ঋদ্ধ মণিপুরীদের নিজস্ব ভাষা ও সাহিত্যের এক উজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং মণিপুরী ভাষার স্বতন্ত্র একটি বর্ণমালাও আছে।
১৯৯২ সালের ২০ আগষ্ট মণিপুরী ভাষা ভারতীয় সংবিধানের অষ্টম তপশীলে অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে সর্বভারতীয় পর্যায়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ভাষার স্বীকৃতি অর্জন করে। পৃথিবীর সর্বত্র মণিপুরী ভাষাভাষি জনগোষ্ঠী এই দিনটিকে ‘মণিপুরী ভাষা দিবস’ হিসেবে উদযাপন করে থাকে।