হত্যা না আত্মহত্যা? এমন প্রশ্ন উঠেছে শ্রীমঙ্গল শহরের সকল মহলে। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আসমা বেগম(২২) নামে অন্তসত্ত্বা এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। রবিবার দুপুরে উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের সরকার বাজার রাজপারা বাদেআলীশা এলাকা থেকে ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত আসমা বেগম উপজেলার আলিশার কুল এলাকার মতলিব মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই গৃহবধুর শাশুড়ী রহিমা বেগম(৫৫)কে আটক করেছে।
নিহতের স্বামী মোহাম্মদ আব্দুল হালিম জানান, প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতেও এক সাথে খাবার দাবার শেষ করে একই বিছানায় ঘুমান। রোববার(৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টায় ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার পাশে স্ত্রী নেই। তিনি এদিক ওদিক তাকিয়ে হটাত দেখেন ঘরের উপরে তীরের সাথে মাফলার দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলানো আছে। পরে চিৎকার দিয়ে আশে পাশের লোকজন ডাক দিলে এগিয়ে আসে।
নিহতের বড় বোন আলেয়া বেগম(৩০) জানান, আমার বোন আত্মহত্যা করার কথা নয়। তাদের স্বামী-স্ত্রীর সাথে পারিবারিক ঝামেলা ছিলো। আমাদের ধারনা আমার বোনকে তারা খুন করেছে।
ঘটনার খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান ও শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুছ ছালেকসহ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এব্যাপরে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুছ ছালেক জানান, আলামতে মনে হচ্ছে আত্মহত্যা হতে পারে। তবে আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে নিহতের শাশুড়ি রহিমা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি আরো জানান, মেয়েটির দ্বিতীয় বিয়ে হওয়ার কারণে ছেলেকে তার মা রহিমা বেগম প্রায়ই তাকে স্ত্রীর বিরোদ্ধে বিভিন্ন উস্কানি দিত এবং ছেলের বউকে বিভিন্ন ভাবে মানষিক নির্যাতন করতো।
এদিকে আব্দুল হামিদের স্ত্রী অন্তসত্ত্বা আসমা খাতুন(২০) মৃত্যুর আগে নিজ হাতে নিজের মনের ব্যথা লিখে আত্মহত্যা করেছে। তবে লেখাটি এখনো স্পষ্ট নয়। তাৎক্ষণিকভাবে রহস্য উন্মোচন সম্ভব হয়নি। এনিয়ে তদন্ত চলছে, রহস্য উৎঘাটন করা হবে।
|